Ե-e কল্পক্রম। হইত। সমাজে কোনরূপ অভাব বা গোলযোগ ঘটিতে পারিত ম৷ বর্ণবিভাগানুসারে কার্ষ্য করায় আর একটা মহোপকার হইত। মন্থয্যের প্রকৃতি বাল্যকালে ভাতি কোমল ও সরল থাকে, তখন তাহাকে যে দিকে aাওয়াইতে ইচ্ছা করা যায়, তাহ সহজেই সেই দিকে নত হয়, যৌবনে কখনই তদ্রুপ হইতে পারে না । মঘাদির সময়ে ও তাঙ্কার বহুকাল পরেও যে বর্ণের যে ব্যবসায় নির্দিষ্ট ছিল, সেই বর্ণের সন্তানগণ বাল্যকাল হইতে সতত সেই সমুদায় দেখিয়া শুনিয়া আপন আপনি বা পিতামাতাকর্তৃক সেই কাৰ্য্যে শিক্ষিত হইতে নিযুক্ত হইত ও সময়ে তাহাতে বিলক্ষণ পারদর্শিতা লাভ করিয়া সহজে আপন আপন জীবিকানিৰ্ব্বাহে সক্ষম হইতে পারিত । এক্ষণে প্রায় কোনরূপ নির্দিষ্ট কাৰ্য্য বা ব্যবসায় না থাকায় অনেকে অধিক বয়সে সংসারের ভার স্বন্ধে করিয়া সম্পূর্ণ অজ্ঞাবস্থায় জীবিকানিৰ্ব্বাহের জন্য বহুবিধ উপায় অবলম্বন করিতেছেন সত্য, কিন্তু আশানুরূপ ফল প্রাপ্ত হই তেছেন না! তাহারা নূতন উপায়াবলম্বনে কিছু উপার্জন করা দূরে থাকুক, অনেকে আবার পূর্ব সঞ্চিত সম্পত্তিও নষ্ট করিয়া ফেলিয়া অন্নের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন? তাই বলিতেছি, স্বাধীনাবস্থায় বর্ণবিভাগামুসারে যখন বিভিন্ন বিভিন্ন জীবনোপায় নির্দিষ্ট ছিল, তখন তাহাতে হিন্দুসমাজের অধঃপতন না হইয়া বরং উন্নতিই হইয়া গিয়াছে । দেশকাল পাত্র ভেদে এখন তাহার অনেক বৈপরীত ঘটতেছে। এখন জাতীয় সহায়ুভূতির সম্পূর্ণ অভাব। পূৰ্ব্বনির্দিষ্ট উপায়ে জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ না হইলে অগত্যাই অন্য পথ দেখিতে হয়। কিন্তু দুঃপের বিষয় বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই প্রায়ু এক পথাবলম্বী—পরসেবী-হইয় পড়িয়ছি! অন্য উপায় সত্ত্বেও অনেকে স্বেচ্ছমত এই কার্যে নিযুক্ত হইয়া থাকেন। যাহারা স্বাধীনপগ— বাণিজ্য ব্যবসায়াদিতে প্রবৃত্ত হন, তাহারাও শিক্ষা ও বহুদৰ্শিতার অভাবে পদে পদে বিফলমনোরথ হইতেছেন । - বাণিজ্য ব্যবসায়াদিতে শিক্ষা ও বহুদৰ্শিতালাভ করা যে নিতান্ত আব: শ্যক তাহাতে সন্দেহ নাই। অনেকে বিবেচনা করিয়া থাকেন, “ নগদ টাকা দিলাম, কতকগুলি দ্রব্য খরিদ করিলাম, বাজারে তত্তং ত্রব্যের অভাব হইলে (অভাব হইলেই দ্রব্যের মূলা অধিক হইয়া থাকে) অধিক মূল্যে বিক্রয় করিয়া প্রচুর অর্থ সংগ্ৰহ করিলাম। কোন ভাবনাই রহিল না, ইহাতে আবার শিক্ষার আবশ্যকতা কি ? যাহার এইরূপ বিবেচনা করিয়া থাকেন,
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৭৮
অবয়ব