দেবগণের মর্ত্যে আগমন। ՀԳ Տ যেরূপ বিলাসপ্রিয় হইয়াছে তাছাতে আমি নিশ্চয় বলিতেছি সত্বরেই ইহাদের পতন হইবে । নচেৎ এক পয়সার ডাব পাকে পুতে রেখে খাইয়। ঠাণ্ড হুইবার যে পদ্ধতি আছে তৎপরিবর্তে দুই আনা ব্যয়ে যাবনিক জল পানে অগ্রসর হইবে কেন ? আমি দেখিতেছি আমার বাঙ্গালীদিগের সকল বিষয়েই পরিবর্তন ঘটিয়াছে। তাছার নাগরা জুতা পরিত্যাগ করিয়া বুট, দেশীধুতি পরিত্যাগ করিয়া বিলাতী এবং বালাপোসের পরিবর্ভে শাল জামিয়ার গাত্রে দিতে শিখিয়াছে। যে জাতি অল্প আয়ে এত বাবু হয় তাহাদের যে শীঘ্ৰ পতন হইবে ইহা কি ভুমি স্বীকার কর না ? অতীত কালের পরিচ্ছদাদি অপেক্ষা বৰ্ত্তমান সময়ের পরিচ্ছদ গুলিতে স্বল্প ব্যয়ে বাবু সাজাইতে পারে স্বীকার করি, কিন্তু ভাই কদিন যায় ? অতএব ইহারা যাহা উপার্জন করে, তৎসমুদয় যদি সাজ পোষাকে পৰ্য্যবসিত হয় ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় থাকে কি ? বরুণ। উহারা বলে ঘরে থাই ন খাই তাহা কেহ দেখতে যাচ্চে না । কিন্তু সাজ পোষাকটা সকলেই দেখে থাকে। নারা । উৎসন্ন যাক । বরুণ। দেখুন পিতামহ ! হিসাৰী ইংরাজেরা । যাহাদের রাজশ্ৰী থাকে ঐৰূপই হয়। বলবো কি, কি রাজা কি ভিক্ষুক সকলেরই পোষাক একরূপ । পোষাক দৃষ্টে কে রাজা কে চামার কাহার সাধ্য চিনে লয়। আবার মাগী গুলোও তেমি, কতকগুলো কাকের পালক বকের পালক মাথায় গুজে দিব্য হেসে খেলে বেড়াচ্চে। আর আমাদের এদের দেখবেন একটু পরেই ১৫ টাকা বেতনের ভাড়ানীর বেটা দিব্য চ্যেন ঝুলিয়ে কেরাণীগিরি করতে যাবে । এই সময় আটার আফিসের কেরাণী বাবুরা পঙ্গপালের মত্ত রাস্তায় আসিয়া উপস্থিত হইল। দেবতার। এক পাশ্বে সরিয়া দাড়াইলেন এবং নারায়ণ কছিলেন “ উঃ বাবা ! এ যে পালকে পাল রে !! ব্ৰহ্মা । বরুণ ! এই পৰ্ব্বতের মধ্যে জামালপুর। এখানে সন্ধান পেয়ে এত বাঙ্গালী কোথা হ’তে যুটিল ? বরুণ । আজ্ঞে, আজ কাল সকলেরই লক্ষ্য এক চাকরীর দিকে । ব্রাহ্মণ বেদ পাঠ ছেড়ে, বৈদ্য চিকিৎসা ব্যবসা ছেড়ে, কুম্ভকার ও স্বর্ণকার হাড়িপেটা ও গহনা গড়ান ছেড়ে, নাপিত ও মৎস্যজীৰী খুৱাবুলান ও
