পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদেশে দেব দেবী পূজার প্রাগ্রভাবের কারণ কি ? ২৮৩ : ধারা নিত্য প্রবাহিত হইতেছে। যে দেশের শ্রাদ্ধকালের মধুদানের মন্ত্র এই— “ মধু বাতা ঋতায়তে মধু ক্ষরস্তু সিন্ধবঃ মাধীন সন্তৌষধী: মধু নক্ত মুতোষসে মধুমং পার্থিবং রজঃ মধু দৌরস্ত নঃ পিতা মধুমান্নো বনস্পতিঃ মধুমনিস্ত স্বৰ্য্যোমাধবীর্গাবোভবন্ত নঃ । ” 費 幽 যে দেশে বায়ু জল ওষধি বৃক্ষ রাত্রি প্রভাত স্বৰ্য্য গাভি প্রভূতি সকলই মধুময়, সে দেশের তুল্য ঈশ্বরামু গৃহীত দেশ কি আর আছে ? এই বসন্তকালে যে দিকে দৃষ্টিপাত করা যায়, সেই দিকেই দেখিতে পাওয়া যায়, বনস্পতি সকল মধুমান হইয়াছে। شه ফলতঃ জগদীশ্বরের কৃপায় বঙ্গ বাসির সকল বিষয়েই সুখী হইয়াছেন । যে বিষয়ের আলোচনা করা যায়,সেই বিষয়েই র্তাহার অসীম করুণ লক্ষিত হয় । এদেশে যেমন ষড়ঋতুর ভোগ হয়, অন্য কোন দেশে সেরূপ হয় না। পাঠক ! ঈশ্বরের কেমন কৃপা দেখুন, শীতকালে বঙ্গবাসির শীতে দারুণ কষ্ট হইয়াছে বলিয়া তিনি কাতর হইয়াই যেন মুখময় বসন্তকাল প্রেরণ করিয়াছেন। বসন্তের মুখ এক মুখে বর্ণন করিয়া শেষ করা যায় না । মৃদু মন্দ দক্ষিণ বায়ু বহিতে আরম্ভ করিয়াছে। বৃক্ষসকলও শীতে ক্লিষ্ট হইয়াছিল । এক্ষণে দক্ষিণ সরস বায়ু লাগিয়া সকলেই যেন পল্লবিত মুকুলিত ও পুম্পি ত হইয়া বঙ্গবাসির যাবতীয় ইঞ্জিয়ের তৃপ্তিসাধন করিতেছে। হরিতময় নবপল্লবশোভা ও মন্দমারতহিল্লোলে শাখা প্রশাখা ও লতাসকলের নৃত্য দর্শন করিয়া নয়নযুগল ; সমীরণযোগে পুষ্প ও মুকুলের মধু গন্ধের আস্রাণ করিয়া ভ্ৰাণদ্বয় ; সুরভি সুশীতল বায়ু স্পর্শে ত্বগিন্দ্রিয় এবং নবজাত ফলের উপাদেয় রসাস্বাদ করিয়া রসন যে কি অনিৰ্ব্বচনীয় তৃপ্তি লাভ করিতেছে, বঙ্গবাসিরাই তাহ বুঝিতে পারেন, অন্যের তাহা অনুভব করিবার সামর্থ্য নাই। পাঠক ! জগদীশের আর একটা কৃপা প্রকাশ অনুভব করিয়া দেখুন, সংবৎসরের মধ্যে একট কোকিলের শব্দ শুনিতে পাওয়া যায় না, কিন্তু এই বসন্তকালে তিনি যেন বঙ্গবাসির শ্রবণযুগলের প্রমোদমুখসাধনার্থ শত শত কোকিল কোথা হইতে পাঠাইয়া দিয়াছেন। প্রতি মুকুলিত আম্রবৃক্ষের দিকে চাহিয়া দেখ, কোকিলমিথুন মধুময় কুকুরবে যেন বঙ্গবাসির মন মোহিত করিতেছে। জগদীশ বঙ্গবাসির প্রতি প্রসন্ন হইয়াই কি পুংস্কোকিলের কণ্ঠমালীতে মধুভাও বগাहेब्रा ब्रांषिब्राटश्म ? अनाथो भक्रिब्र क% श्रेष्ठ ७क्र* भधूमांथ प्रब दांश्ब्रि হইবে কেন ? পাঠক! কোকিলের পঞ্চম স্বর গানে যে একটা অদ্ভূত কাও