দেবগণের মর্ত্যে আগমন । ৬৯ “ না পদোর মা, এই নেও তোমার টাকা নেও ” বলিয়া বরুণ টাকা কড়ি চুকাইয়া দিয়া দেবগণ সহ ষ্টেষণ অভিমুখে চলিলেন। যাইতে যাইতে নারায়ণ কহিলেন বরুণ “ পদোর মাকে হাতি আসে কি না জিজ্ঞাসা করায় ও অমন করে উঠলো কেন ? ” বরুণ। পদোর বালককালে গান বাজনায় বেশ সখ ছিল । উহার বাসস্থান সোনাখালিতে ভদ্রলোকেরা এক সময়ে একটী কবির দল করে । তাহাদের দলটী উত্তম হইয়াছিল। ঐ দল দেখে পদো ও রাজ্যের চোয়াড় চাড়াল একত্র করে একটী কবির দল করে। বাবুদের সক ফুরালে দলটা ভাঙ্গিয়া যায় কিন্তু পদোর দল জীবিত থাকে। এই সময়ে গোবরডাঙ্গার বাবুরা সোনাখালির কবির দল উত্তম হইয়াছে শুনিয়া তাহাদের কোন বন্ধুকে অবশ্য অবশ্য পঠাইতে লেখেন । বন্ধু পত্র পাঠে বিৱেচনা করিলেন বাবুদের দল ভাঙ্গিয় গিয়াছে, তবে বোধ হয় পদোর দল পাঠাইতে লিখিয়া থাকিবেন । অতএব তিনি পদোকে সন্মত করিয়া গোবরডাঙ্গায় পত্ৰলেখেন। বাবুর তদনুসারে কয়েকটা হাতি পাঠাইয়। ঘর দ্বার ঝড় লণ্ঠন দ্বারায় ভালরূপ সাজাইতে আরম্ভ করেন । এদিকে পদ্মনাথ সবান্ধবে হাতি আরোহণে গোবরডাঙ্গা অভিমুখে চলিলেন । দলটা দেখিয়াই বাবুদের মনে ঘৃণা হয় কিন্তু গুণ থাকিলেও থাকিতে পারে ভাবিয়া বাস দেন এবং পোলাও কালিয়ে গুলো প্রস্তুত হইয়াছে অনর্থক ফেলা যাবে ভাবিয়া খাইতে দেন । ষ্টেট লোক, কখন ভাল দ্রব্য চক্ষে দেখে নাই, অতএব এক একজন গণ্ডে পিণ্ডে গিলে আর নড়তে চড়তে পারে না, কিন্তু কি করে যে জন্যে আসা করতেই হবে ভাৰুি সকলে কষ্টে শ্রেষ্ঠে আসরে গিয়ে দেখা দেয় । আসরে উপস্থিত হইয়া দেখে ঝাড় গঠনে এলাহি কারখানা করে ফেলেছে। এরা আর কখন ৰাতির আলোয় গান করে নাই সুতরাং গালে হাত দিয়া ভাবতে থাকুক। ওদিকে দুলির এই সময় ঢোলে চাটি দিয়া ‘‘ ঘ ঘিচা ঘৰ্ণ ” “ ঘ ঘিচা ঘা ” বাদ্য আরম্ভ করিল। ষণ্ডার দলের তখন কোমর বাধিয়া উঠিয়া মাটি কাপাইয়৷ তালে তালে মৃত্য দেখে কে । অনেকক্ষণ নৃত্যের পর সকলে মুখামুখি হয়ে ঠিক ডাকাত পড়ার মত একট। বিদঘুটে চীংকার করিয়া,গলা সেধে লয় এবং শ্ৰেণীবদ্ধ হইয়া এই ভাবে দাড়ায় যেন বন্দুকে বারুদ প্রভৃতি মজুং এক ফুস্কি আগুণের অভাব। এই সময় পদ্মনাথ খাত। হাতে লইয়। সকলের পশ্চাৎভাগে আসিয়া বাতির আলোতে ঝাপসা দেখে যেমন বলেচে " আ ! মলে,