পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“জানি গো জানি গো তারা, তুমি জান মা ভোজের বাজি। ] যে তোমায় যে ভাবে ডাকে তাইতে তুমি হও মা রাজি।” । उारे उिनि क्रांन कब्रिाझिालन “যিনি সেই মসজিদ গির্জায়, ব্ৰাহ্মসভার, শ্মশানে কি গাছের তলে তিনি মোহন্ত আখড়ায়, তুলসীতলায়, সৰ্ব্বস্থানে ভূমণ্ডলে।” সুতরাং কাঙ্গাল হরিনাথকে যিনি যাহা বলিবোম, তিনি তাহাঁই ছিলেন। কাঙ্গালের ধৰ্ম্মমত এতই উদার ছিল যে, তিনি সৰ্ব্বত্র সত্য দেখিতে পাইতেন। . আমার মনে পড়ে একবার তাঁহাকে আমি একটি প্রশ্ন করিয়াছিলাম, “ঈশ্বর সাকার না নিরাকার ?” কাঙ্গাল হরিনাথ একটু চুপ করিয়া থাকিয়া বলিলেন “তোরা যত গোল করিস ঐ হ্রস্ব আর দীর্ঘ ন বুঝে।” আমি এ উত্তরটা বুঝিতে না পারিয়া তাঁহার মুখের দিকে চাহিয়া রহিলাম। তিনি আমার অবস্থা দেখিয়া বলিলেন “কথাটা বুঝলি নে ? আগে বানানটা ভাল ক’রে শেখ। তোদের প্রথমে বানান ক’রতে হবে দন্ত্যন’য়ে দীর্ঘ ইকার নী’, ‘র’য়ে আকার “রা”, “ক’য়ে আকার ‘কী, আর র-নীরাকার, অর্থাৎ জলের আকার। জল যেমন যে পাত্রে রাখবি সেই আকার হবে, তিনিও তাই। এই দীর্ঘ ইকার নিয়ে কিছুদিন প্ৰাণপনে নাড়াচাড়া করতে করতে দেখতে পাবি সে দীর্ঘ আর নেই, কেমন কোরে হ, স্ব হোয়ে গিয়েছে, ‘নিরাকার’ হোয়েছে। তারপর আরও নাড়াচাড়া করবি, বানান করবি ; তারপর দেখবি সে হ্রস্বও আর নাই, একেবারে ‘নিরাকার’। সকল নরনারীই তখন তিনি। কেমন বুঝলি ?” হায় কাঙ্গাল, কি