পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

काछांवन शब्रिनाथ সুখী হইয়াছিলেন । নৈশ-বিদ্যালয়ের কাৰ্য্য প্ৰতিদিন সন্ধ্যাকালে আরম্ভ হইত। হরিনাথের সখা মথুরানাথ ও গোপালচন্দ্র সাম্ভাল। ইংরাজী, এবং স্বয়ং হরিনাথ বাংলা পড়াইতেন। এই নৈশ বিদ্যালয়ে পড়িয়া অনেকে ইংরাজী স্কুলে প্ৰবেশ করিয়া প্ৰশংসার সহিত প্ৰবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছিলেন । কাঙ্গাল হরিনাথের সর্বতোমুখী প্ৰতিভা বালকদিগের শিক্ষা বিধানেই পৰ্য্যবসিত হয় নাই। তিনি বালিকাদিগের শিক্ষার জন্য বালিকাস্কুলও স্থাপিত করেন। সে সময়ে স্ত্রী-শিক্ষার নামে সকলেই আতঙ্কিত হইতেন। স্ত্রীলোক বিদ্যা-শিক্ষা করিলে বিধবা হয়, ভ্ৰষ্ট-চরিত্রা হইয়া সমাজ কলঙ্কিত করে, ইত্যাদি অমূলক বিশ্বাস শিক্ষিতপ্রধান রাজধানীতেই যখন বিদ্যমান ছিল, তখন পাড়াগায়ের ত কথাই নাই। কাঙ্গাল হরিনাথের অদম্য তেজ ও উৎসাহ কিছুতেই পশ্চাৎপদ হইতে জানিত না। সংসারে বাস করিতে হইলে সমাজ ভিন্ন মানুষ বাস করিতে পারে না । স্ত্রী পুরুষ উভয়েই সমাজের অঙ্গ বিশেষ। সমাজের এক অঙ্গকে যদি শিক্ষার দ্বারা উন্নত করা হয়, এবং অপর অঙ্গ শিক্ষার অভাবে অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে, তাহা হইলে সে সমাজের কখনই সৰ্ব্বাঙ্গীন উন্নতি হইতে পারে না । সমাজের মঙ্গলের জন্য যেমন বালক-শিক্ষার প্রয়োজন, তদ্রুপ বালিকা-শিক্ষারও প্রয়োজন । কাঙ্গাল হরিনাথ সমাজের সেই অভাব মোচনের নিমিত্ত কয়েকটি বালিকা লইয়া নিজ বাটীর চণ্ডীমণ্ডপগুহে বালিকাশিক্ষার ব্যবস্থা করিলেন এবং নিজেই শিক্ষার ভার গ্ৰহণ করিয়া বালিকাদিগকে শিক্ষা দিতে লাগিলেন । তাহার শিক্ষার এমন আশ্চৰ্য্য শক্তি ছিল যে, বালিকাদিগের বিদ্যা ও জ্ঞানে ঐকান্তিক ভক্তি চিরদিন সমান ছিল। তাহারা যখন পিতৃগৃহে আসিতেন, পিতৃ-মাতৃ স্নেহের ন্যায় শিক্ষকের, স্নেহ ভুলিতে না পারিয়া, অনেকেই শিক্ষকের আশীৰ্ব্বাদ গ্ৰহণ