পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कश्रांक्षी शब्रिनॉर्थ २७ প্ৰিণ্টার (এক্ষণে পরলোকগত) প্ৰফুল্লচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়, কুমারখালী বাঙ্গালা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্ৰীযুক্ত প্ৰসন্নকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং ছাপাখানার ভূতের দল। ভূতের দল ব্যাকরণ বা সাহিত্যে পণ্ডিত ছিল না, কিন্তু তাহারা সকলেই কাঙ্গালের শিষ্য, সকলেই গান করিতে পারিত। চুপ করিয়া শয়ন করিয়া থাকা আমাদের কাহারও কোষ্ঠীতে লেখে না। সেই দ্বিপ্রহরে রৌদ্রের মধ্যে কি করা যায়, ইহা লইয়াই একটা তর্ক আরম্ভ হইল। তর্ক বেশ চলিতে লাগিল, কিন্তু কৰ্ত্তব্য স্থির হইল না ; তর্কের যাহা গতি হইয়া থাকে তাহাই হইল। অক্ষয় বলিলেন যে, “একটা বাউলের দল করিলে হয় না ?” এ কথাটা মনে হইবারও একটা কারণ ঘটিয়াছিল। সে দিন প্ৰাতঃকালে লালন ফকির নামক একজন ফকির কাঙ্গালের সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছিলেন । লালন ফকির কুমারখালীর অদূরবর্তী কালীগঙ্গার তীরে বাস করিতেন। র্তাহার অনেক শিষ্য ছিল। তিনি কোন সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন তাহা বলা বড় কঠিন, কারণ তিনি সকল সম্প্রদায়ের অতীত রাজ্যে পৌছিয়াছিলেন। তিনি বক্ততা করিতেন না, ধৰ্ম্মকথাও বলিতেন না। তাঁহার এক অমোঘ অস্ত্র ছিল- তাহ বাউলের গান। তিনি সেই সকল গান করিয়া সকলকে মুগ্ধ করিতেন । শুনিয়াছি, কবিবর শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলাইদহের কুটীতে লালন ফকির একবার গান করিয়া সকলকে মন্ত্ৰমুগ্ধ করিয়া রাখিয়াছিলেন। প্ৰাতঃকাল হইতে আরম্ভ করিয়া অপরাহ্ন তিনটা পৰ্য্যন্ত গান চলিয়াছিল ; ইহার মধ্যে কেহ স্থানত্যাগ করিতে পারেন নাই। সেই লালন ফকির কাঙ্গালের কুটীরে, আমরা যে দিনের কথা বলিতেছি, সেই দিন আসিয়াছিলেন এবং কয়েকটি গান করিয়াছিলেন। সব কয়ট গান আমার মনে নাই ; একটা গান মনে उाgछ । य९शो