পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8& काछांक झुद्रिनाथ যাইবার জন্য প্ৰস্তুত হইলাম। তাঁহার শেষরাত্রির গাড়ীতে গোয়ালন্দ পৌঁছিলেন। আমি প্ৰস্তুত হইয়া ষ্টেসনে ছিলাম। একসঙ্গে ষ্টীমারে চড়িয়া ফরিদপুরে গেলাম। আমাদের গ্রামবাসী এক্ষণে পরলোকগত প্ৰসন্নকুমার সান্যাল মহাশয় ফরিদপুরে ওকালতি করিতেন। তিনি কাঙ্গালের ছাত্র এবং আমাদের মাষ্টার। আমরা তাহার বাসায় উঠিলাম। সে দিন আর গান হইল না। তাহার পরদিন মেলা কমিটীর সেক্রেটারী মহাশয় বলিয়া গেলেন যে, সেই দিন অপরাহুকালে মেলার মণ্ডপে ফিকিরর্চাদের গান হইবে। আমরা ফরিদপুরে যাইয়াই শুনিয়াছিলাম যে, প্ৰসিদ্ধ পাগলা কানাই ফরিদপুরে গান করিতে আসিয়াছে। পাগলা কানাইয়ের নাম কলিকাতা অঞ্চলের লোক না জানিতে পারেন ; কিন্তু এক সময়ে পাগলা কানাইয়ের গানে যশোহর, ফরিদপুর, পাবনা ও নদীয়া জেলার অংশবিশেষ ভাসিয়া গিয়াছিল। পাগলা কানাইয়ের গান শুনিবার জন্য এক এক সময় চল্লিশ পঞ্চাশ হাজার নিম্নশ্রেণীর হিন্দু মুসলমান একস্থানে সমবেত হইত। একদিনের পথ হাঁটিয়া লোকে পাগলা কানাইয়ের গান শুনিতে আসিত । আমরা যে সময়ের কথা বলিতেছি, তখন পাগলা কানাই বৃদ্ধ হইয়াছিল। কিন্তু তখনও তাহার গলার এমন আওয়াজ ছিল যে, পঞ্চাশ হাজার লোকের মধ্যে দাড়াইয়া গান করিলেও সকলে তাহার গান শুনিতে পাইত। আমরা ফরিদপুরে উপস্থিত হইয়া শুনিলাম যে, আমাদের যে সময় গান করিবার ব্যবস্থা হইয়াছে তাহার পূর্বে অর্থাৎ মধ্যাহ্ন বারটার সময় পাগলা কানাইয়ের গান আরম্ভ হইবে। কাহ্মাল বলিলেন “তোরা ত সে গান শুনিস নাই, কানাইয়ের গান শুনিলে লোকে পাগল হইয়া যায়।” ", আমরা বেলা ১২টার সময় মেলার মাঠে যাইয়া দেখি যে, সে এক |