পাতা:কাঙ্গালের ঠাকুর - জলধর সেন.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

) の > भाgश्नद्र अछिभान्म ইহাতে মা একটু বিষগ্ন হইলেন ; কিন্তু মুখ ফুটিয়া কোন কথাই বলিলেন না । আমারও মনে কষ্ট হইল ; কিন্তু তখন কি জানিতাম যে, ইহা অপেক্ষা ও অধিকতর মনোবেদনা ভগবান আমাদের জন্য সঞ্চিত রাখিয়াছেন । দাদা পনের দিনের কথা লিখিয়া মধুপুর গেল ; সেখান হইতে একখানি পত্রও লিখিল না। মধুপুরের ঠিকানাটাও যদি লিখিত, তাহা হইলে আমরাই না হয় পত্ৰ লিখিয়া তাহাকে আমাদের কথা মনে করাইয়া দিতাম ; এবং পত্রের উত্তরে তাহার সংবাদ ও পাইতাম । প্রায় ১৫ দিন পরে দাদার এক পোষ্টকার্ড পাইলাম ; তাহাতে সে লিখিয়াছে যে, তাহার বন্ধীরা তাহাকে কিছুতেই ছাড়িয়া! দিতেছেন না, তাই সে এত বিলম্ব করিতেছে। খাক, বাড়ীতে, আসুক আর না। আসুক, দাদা সে ভাল আছে, ইহাতেই আমরা নিশ্চিন্ত হইলাম । “আমরা” বলাটা বোধ হ{ ঠিক হইল না ; কারণ, আমি নিশ্চিন্তু হইলেও, মায়েব ਜਕ বড়ই চিন্ত হইয়াছিল, তাহা তাহার ভাব দেখিয়া, এবং দুই-একটা কথা শুনিয়াই বেশ বুঝিতে পারিয়াছিলাম । মা একদিন বলিলেন, “আজি দুই বৎসর শিশিরকে দেখি নাই । শরীর কেমন আছে, কি করিয়া বলিব ।” আর একদিন বলিলেন, “দেখ বসন্ত, শিশিরের মা-অন্ত প্ৰাণ। ছিল।” • আমি আর এ সকল কথার কি উত্তর দিব ।