পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 〉○ | ব্ৰহ্মাণ্ডবেদো-যোগ । আমি পূৰ্ব্ব প্ৰস্তাবে যোগের কথা বলিয়াছিলাম। যোগ সম্বন্ধে আমি কিছুই জানি না ; তবে ব্ৰহ্মাণ্ড-বেদে কাঙ্গাল হরিনাথ কোন কথাই বাদ দেন নাই; সাধনবলে তিনি যাহা কিছু উপলব্ধি করিয়াছিলেন, তাহা সমস্তই তিনি ব্ৰহ্মাণ্ডবেদে লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। আমি তঁহারই পদাঙ্ক অনুসরণ করিয়া যোগের কথা এই স্থানে নিবেদন করিব। প্রথম বুঝিতে হইবে ‘যোগ’ কথাটার অর্থ কি ? কাঙ্গাল হরিনাথ বলিয়াছেন “মনোবৃত্তি রুদ্ধ করার নাম যোগ ||”—আর এক স্থলে তিনি বলিয়াছেন “ত্যাগ-স্বীকারই যোগের হেতু।” কথাটা বোধ হয় এই-- বিষয়বুদ্ধি ও বিষয়নাশের নিমিত্ত যে অবস্থায় সুখ দুঃখের অনুভব হয় না, মানুষের সেই অবস্থার নামই যোগ। উক্ত অবস্থা প্ৰাপ্ত হইবার উপায় যে সকল গ্রন্থে লিখিত আছে, তাহার নাম যোগশাস্ত্ৰ। সুখ-দুঃখানুভবের কারণই মন।। আধেয় মন যখন সুখ-দুঃখের হেতু বিষয় পরিত্যাগ এবং ভগবান অথবা তাহার মহিমা শ্রবণ কীৰ্ত্তনাদিকে আশ্ৰয় করে, তখন জীবের যে অবস্থা উপস্থিত হয়, সেই অবস্থার নাম যোগ । অতএব যোগ যত্নশীল গৃহস্থের পক্ষেও দুৰ্ল্লভ নহে, এবং অযত্নশীল সন্ন্যাসীর পক্ষেও সুলভ নহে। শ্ৰীমদভগবদগীতায় আছে“হে পাণ্ডব ! পণ্ডিতগণ যাহাকে সন্ন্যাস বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন, তাহাঁই যোগ বলিয়া জানিও ; যিনি ফলসঙ্কল্প পরিত্যাগ করেন নাই, তিনি o