পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশে আদিত্যমণ্ডল প্ৰকাশের ন্যায় প্ৰতিফলিত হইয়া থাকে। ধ্যানের পূৰ্ব্বে যে সমুদায় কৰ্ম্ম অনুষ্ঠিত হয়, সে সমুদায় সৌধশিখরারোহণের নিম্নসোপানমালার ন্যায়। পরব্রহ্ম সাক্ষাৎকারের নিতান্ত অন্তরঙ্গ হইলেও ধ্যান হইতেই পরব্রহ্মত্ব হৃদয়ে পরিস্ফরিত হইয়া সাধককে আপনার অভিমুখে আপনি অগ্রসর করিতে থাকে। এই ধ্যানাবস্থায় সাধক সাংসারিক শত সহস্র বাধা বিপত্তির মধ্যে পড়িলেও সেই ধোয় ধ্যানে নিবৃত্ত থাকিতে পারেন না। কারণ মানবের স্বাভাবিক প্ৰবৃত্তি এই যে, যাহাকে সৰ্ব্বোত্তম, সৰ্ব্বসুখকর ও মধুর বলিয়া জানে, শত সহস্ৰ বাধা বিপত্তি উপস্থিত হইলেও সে পদার্থের সম্ভোগে সে কখনই নিবৃত্ত হয় না। সাধক ধ্যানে যে আনন্দ, যে শান্তি, যে মধুরতা অনুভব করেন, তাহার নিকট সাংসারিক আমোদ প্ৰমোদ ও ধনজন স্ত্রী পুত্ৰাদি জন্য সুখ যে নিতান্তই অকিঞ্চিৎকর ; তাই শত সহস্ৰ বাধাবিপত্তি উপস্থিত হইয়াও সাধককে ধ্যানের অনুপম আনন্দ হইতে বঞ্চিত করিতে কিছুতেই সাহসী হয় না। যোগীর ও ভক্ত সাধকের ধ্যানভেদে এই ধানযোগকে দুই ভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে। যোগিগণ সাংসারিক বিষয়ে চিন্তা হইতে মনের শূন্য ভাবনাকে ধ্যান বলেন এবং এ জগৎ ব্ৰহ্মাণ্ডে সকলই অনিত্য, কেবল একমাত্র পরব্রহ্মই নিত্যপদার্থ, এইরূপ অনুক্ষণ অনুচিন্তন তঁহাদের ধ্যানের কাৰ্য্য। এই চিন্তার পরিণাম মন: স্থৈৰ্য্যই যোগিগণের ধানযোগের অব্যৰ্থ ফল। আর, ভক্তহৃদয়রঞ্জন, ভক্তবাঞ্ছাকল্পতরু ভগবান ভক্তির একান্ত আকর্ষণে আপনার গুপ্তস্বরূপ যে সকল নিত্যমূৰ্ত্তি প্রকাশ করিয়া ভক্তকে কৃতাৰ্থ করেন, ভক্ত সাধকগণ সাংসারিক সমুদায় বিষয়চিন্তা হইতে মনকে হরণ পূর্বক সেই নিত্য দেব বা দেবী মুক্তির গাঢ় চিন্তা দ্বারা হৃদয়ে তৎ তৎ মূৰ্ত্তিস্ফুরণের সঙ্গে সঙ্গে তঁহার লীলা ও মহিমাতত্ত্বে চিন্তাপ্রবাহ প্ৰবাহিত ও অপাের আনন্দ & Ο Ο Σ