পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ । দেহে আত্মাপুরুষ আছে, যেজন তাতে যোগ করেছে, যোগ বিয়োগ তার সব ঘুচেছে, এক হয়েছে স্বজন লয়; কাঙ্গাল বলে সেই যোগ দে মা, যে যোগে আর বিয়োগ হয় না, কামের দাসত্ব থাকে না, মৰ্ত্তলোক হয় আনন্দময়। এইবার আমার পুথিপড়া কথা বলি। যোগশাস্ত্ৰে বলে, মানুষের দেহে সাৰ্দ্ধ তিনলক্ষ রসসঞ্চারিণী প্ৰণালী আছে; তাহার মধ্যে চতুৰ্দশটি প্ৰধান। ইহারাই নাড়ী নামে অভিহিত হইয়া থাকে ; আর গুলির নাম শিরা, প্রশিরা প্রভৃতি। ঐ চতুৰ্দশট নাড়ীর মধ্যে আবার তিনটি শ্ৰেষ্ঠ ; তাহাদের নাম-ইড়া, পিঙ্গলা ও সুষুম্ন। ইড়া সংসার-গতিপ্ৰদায়িনী ; ইনি দেহের বাম দিকে রহিয়াছেন। পিঙ্গলা স্বৰ্গবত্ম্যপ্ৰদৰ্শিনী ; ইনি দেহের দক্ষিণ দিকে রহিয়াছেন। আর এই দুইয়ের মধ্যস্থলে রহিয়াছেন সুষুম্না ; ইনি ত্ৰিগুণময়ী, প্ৰকৃতিস্বরূপ, সৃষ্টিস্থিতি লয়কারিণী ও পরমার্থ-পথ-প্ৰদৰ্শিনী। এই সুষুম্না নাড়ির সাতটী গ্ৰন্থি, সপ্তপদ্ম বা চক্ৰ বলিয়া প্ৰসিদ্ধ। এই সাতটী গ্ৰন্থি বা পদ্ম বা চক্রের নাম(১) মূলাধার, (২) স্বাধিষ্ঠান (৩) মণিপুর (৪) অনাহত (৫) বিশুদ্ধ, (৬) আজ্ঞা, এবং (৭) সহস্রার। ইহার মধ্যে প্রথম চক্ৰ মূলাধারে অর্থাৎ পৃথিশক্তিময়চক্ৰে কুণ্ডলিনী শক্তি বিরাজ করিতেছেন। শাস্ত্ৰে বলে ইনি ব্ৰহ্মলীলা-প্ৰকাশিনী, ব্ৰহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্মপ্রেমদায়িনী, সুতরাং ব্ৰহ্মস্বরূপিণী । এই স্থানেই আমার বক্তব্য শেষ হইল। ইহার পর যিনি জিজ্ঞাসা করিবেন ‘এই কুণ্ডলিনী শক্তিকে কেমন করিয়া জাগ্ৰত করিতে হয় ? কুণ্ডলিনী শক্তির বিকাশ হইলে কি হয় ? তাহাকে আমি সরল ভাবে বলিতেছি, তাহা আমি জানি না ; আমি তাহ পরীক্ষা করিয়া দেখি নাই। স্কুলে ভূগোলসূত্রে যেমন কামস্কটিকার বিবরণ পড়িয়াছি, তাহার। সম্বন্ধে যেমন আমার প্রত্যক্ষ জ্ঞান নাই, কুণ্ডলিনী সম্বন্ধেও আমার জ্ঞান (5) 'Y