বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাদম্বরী এই আশ্চৰ্য্য পার্থীটিও নিখিল জগতের মধ্যে রত্ন-স্বরূপ ; এইরূপ বিবেচনা করিয়৷ ইহাকে লইয়া আপনার চরণতলে আসিয়াছি ; সেই জন্ত আমি আপনার দর্শন-মুখ অনুভব করিতে ইচ্ছা করি।” ইহা শুনিয়া দেব যেরূপ কৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্য নির্দেশ করেন ৷”—এই কথা বলিয়া প্রতীহারী নীরব হইল। কুতূহলী রাজা সমীপবৰ্ত্তী অন্যান্ত রাজাদের মুখের দিকে চাহির “দোষ কি, প্রবেশ করিতে দাও”— এইরূপ আদেশ করিলেন । অনন্তর রাজার কথা শেষ হইলে প্রতীহারী ভূমি হইতে উঠিয়া গিয়া সেই চণ্ডালকুমারীকে তথায় প্রবেশ করাইল ।

মূল গ্রন্থের উদ্ধত অংশটুকুর ভাবানুবাদ করিয়া কি ভাবে ও কি ভাষায় তারাশঙ্কর র্তাহার কাদম্বরীতে সন্নিবিষ্ট করিয়াছেন, এইবার তাহাই দেখাইতেছি :–

“একদা প্রাতঃকালে আপন অমাত্য কুমারপালিত ও অন্যান্স রাজকুমারের সহিত সভামণ্ডপে বসিয়া আছেন, এমন সময়ে প্রতীহারী আসিয়া প্রণাম করিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে নিবেদন করিল মহারাজ ! দক্ষিণাপথ হইতে এক চণ্ডালকন্ত। আসিয়াছে। তাহার সমভিব্যাহারে এক শুকপক্ষী আছে । কহিল, মহারাজ সকল রত্বের আকর, এই নিমিত্ত এই পক্ষিরত্ব তদীয় পাদপদ্মে সমর্পণ করিতে আসিয়াছি । দ্বারে দণ্ডায়মান আছে অনুমতি হইলে আসিয়া পাদপদ্ম দর্শন করে।