পাতা:কাব্যগ্রন্থ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নক্ষত্রের নিত্যনীরবতা । বহু ভৃত্য আছে হোথা, বহু সৈন্য তব, জাগে নিত্য কতই প্রহরী। এ পারে নির্জন তীরে একাকী উঠেছে উদ্ধে উচ্চ গিরিশিরে রঞ্জিত মেঘের মাঝে তুষারধবল তোমার প্রাসাদ-সৌধ,-—অনিন্দ্য নিৰ্ম্মল চন্দ্রকান্ত মণিময়। বিজনে বিরলে হেথা তব দক্ষিণের বাতায়নতলে মঞ্জরিত ইন্দুমল্লী-বল্লরাবিতানে, ঘনচ্ছায়ে, নিভৃত কপোত-কলগানে একান্তে কাটিবে বেলা ; স্ফটিক প্রাঙ্গণে জলযন্ত্রে উৎসধারা কল্লোল ক্ৰনদনে উচ্ছসিবে দীর্ঘ দিন ছল ছল ছল— মধ্যাহ্নেরে করি দিবে বেদনা-বিহবল করুণা-কাতর ; অদূরে অলিন্দপরে পুঞ্জ পুচ্ছ বিস্ফারিয়া স্ফীত গর্বভরে নাচিবে ভবনশিখী,—রাজহংসদল ফিরিবে শ্যামল ছায়ে ; অয়ি একাকিনী, আমি তব মালঞ্চের হব মালাকর। ৩১৩