এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
সোনার তরী
মুখ ফিরাইয়া সে রহে বসিয়া,
কহে সে নয়নজলে,—
তোমাদের আমি চাহি না কারেও,
শশী চাই করতলে ।
শশী যেথা ছিল সেথাই রহিল,
সেও বসে এক ঠাই । অবশেষে যবে জীবনের দিন আর বেশি বাকি নাই, এমন সময়ে সহসা কি ভাবি চাহিল সে মুখ ফিরে’, দেখিল ধরণী শ্যামল মধুর
সুনীল সিন্ধুতীরে। সোনার ক্ষেত্রে কৃষাণ বসিয়া কাটিতেছে পাকা ধান, ছোট ছোট তরী পাল তুলে যায়
মাঝি বসে গায় গান । দূরে মন্দিরে বাজিছে কাসর,
বধুরা চলেছে ঘাটে, মেঠো পথ দিয়ে গৃহস্থ জন
আসিছে গ্রামের হাটে ।
Wじo