পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR8 কাব্যের কথা ‘निकू निका नेि के ७थiभद কে দূর করব পিয়াস।” আমাদের ঠিক সেই অবস্থা । আজ এই সাহিত্যের প্রাঙ্গণে দাড়াইয়া সেই তর্ক, মীমাংসা, যুক্তি, এই ভাবদৈন্যের কারণ বুঝাইতে হইলে, আমি ষে খুব ভাল করিয়া তাহার ঠিক মীমাংসা, ভাষ্য ও টীকাটীলপ্লনির সহিত দেখাইতে পারিব, এমন হয় ত নাও হইতে পারে ; তবে বাঙ্গল কবিতার প্রাণ ও বাঙ্গলা সাহিত্যের আদর্শ যে কি, তাহা বোধ হয়, বলিবার সময় আসিয়াছে। তাই আজি এই সমবেত সাহিত্যের দরবারে আমি সেই সকল কথাই বলিতে চাই, কোন পথে যাইলে হৃদয়-উৎসের দেখা মিলিবে, তাহারই খোজ করিব। আপনারাও যদি আমার সঙ্গে একবার এই বিচিত্র রূপ-রস-গন্ধ-শব্দসম্পর্শের ভিতর দিয়া। সেই অবিরাম কবি চিন্তামণির ‘মণি-কোটা’র সন্ধানে আসেন ;-ধৈৰ্য্য ধরুন, সে বঁাশীর রাগিণী আপনাদেরও কান জুড়াইবে, প্ৰাণ জুড়াইবে। ধৈৰ্য্য ধরিলে মুরারি মিলিবে। সে নূতনের সাক্ষাৎ মিলিবেই মিলিবে। সে যে “নিতুই নব” । নিজে নূতন হইতেছে, সাথে সাথে এই জাগ্ৰত বিশ্বও নব নব উন্মেষে মুঞ্জরিত হইয়া উঠিতেছে। এখন কথা হইতেছে কাব্য কি ? গীতি-কবিতা কি ? সাহিত্য কি ? সাহিত্যের আদৰ্শই বা কি ? ফুল যেমন তাহার ভরা রূপের ডালি লইয়া একদিনে ফুটিয়া উঠে না, তেমনি আদর্শও এক দিনে, এক মুহূৰ্ত্তে প্ৰত্যক্ষ অনুভূতিতে আসে না। অনন্ত কালের যে অনাহত সঙ্গীতের আহবান চলিয়াছে, সেই আহবানের টানে ফুল আপনার সেই বিরাগ ও অনুরাগ লইয়া কত যুগ-যুগান্তরের স্মৃতির অক্ষুন্ন ধারার ভিতর দিয়া গৌরবে সৌরভো আপনার আত্মবিকাশ করে। বিকাশই যে জীবনের ধৰ্ম্ম ;- রূপে রূপে বিকাশ, শতেক যুগেয় ফুল শত জন্ম ধরিয়া