পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दांश ब्लांद्ध ?ीडिकविड 8ዓ ( এখন ) একুল ওকুল দুকুল ডুবিল পাথরে পড়িল দেহ कgश् b७िगांग কে আমি কে তুমি ইহা না বুঝয়ে কেহ ॥” ইহা চণ্ডিীদাসের শেষ কথা, অনুভূতির চরমোল্লাস। এ বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডে যত রকমের প্রাণের সম্পর্ক, সকলই ছিল-আছে । অনন্ত অনন্তকাল ধরিয়া আছে, খেলা চলিয়াছে, এখন একুল ও ওকুল দুকুলেরও ভাবনা নাই, লাল-সাগরে দেহ পড়িয়া ভাসিতেছে। চিরজন্ম চিরকাল কল্পকাল ধরিয়া তুমি আর আমি এই খেলার রসে মজিয়া আছি। এ কেহ বুঝে না, যে রসিক হইয়াছে, যে ঘরের ভিতর ঢুকিয়াছে, সেই সে জানে ঘরের কথা ; চণ্ডিদাস জীবনে সকল অবস্থার ভিতর দিয়াই সকল রসের অনুষ্ঠান করিয়া তাহার অনুভূতিতে সিদ্ধ হইয়া। তবে এমন কথা বলিয়াছেন। চণ্ডিদাস ও বিদ্যাপতির আর বিশদ সমালোচনা করিবার স্থান এ নয়, সময়ও অল্প, এই কয়টা কথা যাহা বলিলাম, ইহাতেই আমি সে কথা বোধ হয় বুঝাইতে পারিয়াছি । বিদ্যাপতির দোষের কথা খাহা • বলিলাম, সে শুধু চণ্ডিীদাসের সঙ্গে তুলনা করিয়া ; কিন্তু বিদ্যাপতি যে খুব বড় কবি, এ কথা কে অস্বীকার করিবে? আমি শুধু এই কথাই বলিতে চাই যে, চণ্ডিীদাসের জীবনে যে অনুভূতি পাওয়া যায় বিদ্যাপতিতে তাহা পাওয়া যায় না, সে অনুভূতি আর কোন কবির হয় t নাই। তবে এইটুকু মাত্র বুঝা যায় যে, সেই আদশেই বাঙ্গলা এখন পৌছিতে চেষ্টা করিতেছে। আশা করা যায়, হয় ত আবার সেই বঁাশীর ধৰনি কৰ্ণে আসিবে, প্ৰাণাসুন্দরের সে বিমল রূপমধুরী আবার আমার দেশে ফুটিয়া উঠিবে।