পাতা:কাব্য-গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ) - জলধর সেন.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌরাঙ্গ তৃষিত তাপিত এই বিপুল নিখিল । পৃথিবীর প্রান্তে তারে নামিতে দেখিয়া, ৎসার পাতিয়া ফাদ প্ৰবল আগ্ৰহে ধাইল ধরিতে যবে, আমনি পলকে, মুক্তির তুমুল হর্ষে উৰ্দ্ধে সে পালা’ল । ধারায় নামিয়া, ছিল সেথা যত সুধা , নিঃশেষে করিয়া পান, পুলকিত প্ৰাণ, গণ্ডীর সীমান্তে আসি।” দাড়া’ল ক্ষণেক৷ তৃপ্তি মানি” ; যবে তৃষা মিটে নি জানিল, ধু ধু অকুলের পানে ধাইল নয়ন ; দেখিল, দিগন্তব্যাপী স্বতন্ত্র জগৎ ক্ষীরোদসমুদ্রসম দুলিছে নিকটে ; তার মাঝে ঝাপিল সে অমৃতের লোভে । চিরদিন বন্ধনের ছিল সে অতীত ; তাই, দেবী, বুঝি নাই, আজিও তাহার সুগভীর হৃদয়ের সকল রহস্য । হৃদিহীন, সে বড়ই সহৃদয় বলি’ ; উদাসীন, সে যে বড় প্রেমিক বলিয়া ! কোমলে কঠিনে তেজে গড়া সে প্ৰকৃতি । ভাবপ্রস্থনের ঘায়ে যেই মুচ্ছা যায়, সে পুন মেরুর মত কঠিন, অটল ; সিংহ সম পরাক্রমে, দুস্কৃতিদালনে NG |