পাতা:কাব্য-গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ) - জলধর সেন.pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাব্য-গ্ৰস্থাবলী মুখোমুখী দুইজন বসিল নিশ্চল, বিরহীযুগল আজ কি পরিবৰ্ত্তিত ! পূর্বের আবেগ ল’য়ে স্মৃতির সেতার যতই বাজাতে যায় প্ৰাণপণ বলে, ” ছিড়ে ছিড়ে যায়। তার, আসে না ঝঙ্কার । দোহার জীবন-নভে তবু দুইজন, দুই কেন্দ্ৰে নিৰ্বাসিত দুটি তারা সম আছে জাগি, জাগরণ নিদ্রা দিয়া ঢাকা । স্মৃতির আবছায়া দুঃস্বপ্নের মায়া ! মরণের কোলে যেন নিশ্বাসে জীবন । কহিল সুরজ, “মোরে করিও বিশ্বাস, পরুষ বলের কাছে ভীরু, অসহায় আৰ্ত্ত নারীহাদি ল’য়ে বহুদিন যুঝি, তার পরে করিয়াছি আত্মবিসর্জন । শবের বিবাহ, নহে প্ৰাণের মিলন !” আাধারে জলিল দীপ ! আজি বংশীলাল বুঝিল, রহস্যময় নারী প্ৰকৃতির স্নিগ্ধশালীনতা, নহে ক্ষুদ্র দুর্বলতা । নারীর চরম শক্তি, আত্মবিসর্জনে, পুরুষের স্বার্থে আনে আত্মার বিপ্লব ! অনুতপ্ত বংশীলাল, কহিল কাতরে “আমি-আমি ;-আজি তব করিব বিচার ?