পাতা:কাব্য-দর্পণ.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 08 কাব্যদর্পণ । ৪র্থ পরিঃ প্রয়োজন নাই, কারণ যখন গ্রাম্যতাও প্রতিকটুতা দোষের পরিহার বিহিত হইয়াছে তখন এইটা বুঝিতে হইবে যে, গ্রাম্যতা পরিত্যাগের নাম কান্তি ও শ্রুতিকটুতা পরিহারের নাম সুকুমারতা । - উদাহরণ । ’ “ শাদা শাদা চামর স্থাকায় দুই ধারে ” এই উদাহরণটা গ্রাম্যদোষে দূষিত অতএব ইহার গ্রাম্যদোষ পরিত্যাগ করিয়া যদি এইরূপে লিখিত হইত যথা— । “চুলায় উভয় পাখে বিশদ চামর " | তাহা হইলে এটা কান্তি গুণের সুন্দর দৃষ্টান্ত হইত। সেইরূপ “ যোবিতের চূড়ারত্ব কটাক্ষ ক্ষেপিয়া" এরূপ না বলিয়া ইহার শ্রবণকটুত্ব দোষ পরিহার পূর্বক যদি এরূপে কথিত হইত যে— ণ রমণীর শিরোমণি অপাঙ্গে ছেরিয়৷ ” তাহা হইলে এটা সুকুমারতার সুন্দর দৃষ্টান্ত হইত। ১৯১ । মাগাভেদ রূপিণী সমতা কোন কোন স্থলে দোষত্ব প্রাপ্ত হয়, একথা স্বীকার না করিলে কথিত গুণাবলীর মধ্যে ইহারও অন্তঃপাত হইবে। মসৃণমার্গে অথবা বিকটমার্গে উপক্রান্ত রচনার সেইরূপে পরিসমাপ্তির নাম মার্গাভেদ। এই মার্গাভেদ স্থান বিশেষে দোয়ত্ত্ব প্রাপ্ত হয় ।