পাতা:কাব্য-দর্পণ.pdf/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১aম পরিঃ ] মহাকাব্য । ২১৭ লম্বন করিয়া মহাকাব্য রচনা করিতে হয়। কবি গ্রন্থারম্ভে আপনার অভীষ্টদেবকে উদ্দেশ করিয়া প্রণাম, কিম্ব উক্ত দেবতার নামোল্লেখ পূর্বক জগতের শুভকামনা অথবা বর্ণনীয় নায়কের নাম নির্দেশ করিয়া কাব্যের সুচনা করিয়া থাকেন। কোন, কোন মহাকাব্যের প্রারম্ভে খল জনের নিন্দ অথবা সাধুজনের প্রশংসার উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। ইহাতে ধৰ্ম্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ চতুৰ্ব্বৰ্গ, আবার কাব্যবিশেষে একমাত্র বর্গও বর্ণিত হইয়া থাকে। যদিও মহাকাব্যের প্রত্যেক সর্গ একরূপ ছন্দোবন্ধে গুল্ফিত, তথাপি সর্গের শেষে অন্যবিধ ছন্দে একটা কি দুইটা কবিতা রচনা করিতে হয় ; সর্গগুলি অতিদীর্ঘ বা অতিলঘু করিয়া বর্ণন করা উচিত নহে। কোন কোন মহাকাৰ্যের সর্গবিশেষে বিবিধ ছন্দোবন্ধও দেখিতে পাওয়৷ যায়। প্রত্যেক সর্গের শেষভাগে ভাবিসর্গোক্ত বিষয়ের সুচনা থাকে। সন্ধ্য, চন্দ্র, সুৰ্য্য, রজনী, দিন, প্রদোষ, অন্ধকার, প্রভাত, মধ্যাহ্ন, মৃগয়া, পৰ্ব্বত, ঋতু, বন, সাগর, সত্তোগ, বিপ্ৰলম্ভ, মুনি, স্বৰ্গ, নগর, পথ,