ہ y، ও একটি মাত্র সংক্ষিপ্ত উদাহরণ প্রদত্ত হইয়াছে । “সাহিত্যদর্পণ,” “ কাব্যপ্রকাশ,” “ কাব্যাদর্শ” “ আলস্কণরকৌস্তুভ ” ও সহৃদয়শিরোমণি কবিচণ্ডিদাসপ্রণীত “কাব্যপ্রকাশদীপিক।” প্রভৃতি কএক খানি অলঙ্কারের সারভাগ গ্রহণ করিয়া এই পুস্তক প্রস্তুত হইয়াছে। আদ্যরসের অন্যতম নাম উজ্জ্বলরস, এজন্য “উজ্জ্বল রসতরঙ্গিণী” নামে আর একখানি গ্রন্থসঙ্কলন করিয়াছি ; ইহাতে শাখা প্রশাখার সহিত কেবল অগদ্যরস বর্ণিত হইয়াছে। যদি বহায়াসসাধ্য এই “ কাব্যদর্পণ” সভ্যসমাজে অৰুচিকর না হয়, তাছা হইলে অতি শীঘ্রই “উজলরসতরঙ্গিণীর ” লহরীপরম্পর সমুথিত করিবার নিমিত্ত প্রযত্ন-পবন প্রবাহিত করিতে ক্রটি করিব না। আদ্যরসের উল্লেখ করিতে হইলেই যে লেখনী ঘৃণাকর ও লজ্জাজনক বিষয় সকল উদগীর্ণ করিবে ইহা কেবল ভ্রান্তিবিলসিত। যেরূপ ঋতুর মধ্যে বসন্ত ঋতু ঋতুরাজ বলিয়া আদরণীয়, নব রসের মধ্যে নিরাবিল অদ্যরসও সেইরূপ আদরণীয় ; এই নিমিত্ত ভিন্নাবয়বে উহ। লিখিত হইয়াছে ; কিন্তু অনায়াসে প্রকটিত হইবে কি না তাহ। ভবিষ্যতের গর্ভে নিহিত । এইক্ষণে সভ্যসমাজে নিবেদন এই যে, যদি দেশীয় সহৃদয়গণ সামুগ্রহ হইয়। এই পুস্তক খানির প্রতি এক এক বার দৃষ্টিপাত করেন, তাহ হইলেই এই সামান্য গ্রন্থকার আত্মাকে চরিতার্থ বোধ করিবে । এই পুস্তক যে একবারে নির্দোষ হইয়াছে ইহা বল। কেবল মুঢ়তার কৰ্ম্ম, তবে যদি কোন মহাত্মা ইহার স্থল
