পাতা:কায়স্থ-তর্ক সমাধান.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( > ) কেচিং কাপালিকা চার মস্ত মাংসাশিনঃ সদা । একসৈব্য মতষ্ঠাপি ভেদ ষটকং সমাশ্রিতাঃ ॥ শঙ্কর বিজয় । বঙ্গার্থ—ব্রাহ্মণ প্রভৃতি বেদাচাব পরিত্যাগ কবিয়া মিথ্যা । লৌকিক ) আচার গ্রহ করত চিত্র বিচিত্র প্রতিমা দ্বারা মুগ্ধ হইয়াছে । ( ইহার ) যথাকলে বেদ মন্ত্রোচারণ পূর্বক অগ্নিতে ঘৃতাহুতি দেয় না , ( হায় । ) নরাধমগণ ( আরও ) উচ্চৈ স্বরে বলে ( আমরা ) প্রতিম উপাসক। পিতৃলোকের তৃপ্তির জন্ত অমাবস্তা প্রভৃতি পরে স্বধা প্রদান করে না । সত্য লোক সিদ্ধির জন্ত স্বাধ্যায় পাঠ কি ব্ৰহ্ম যজ্ঞ করে না । কোনও ব্যক্তি না অগ্নি ষ্টম, না আগ্রহায়ণ কৰ্ম্ম, ন সন্ন্যাস ইহার কিছুই করে না সকলেই পাষণ্ডত্ব প্রাপ্ত হষ্টয়াছে। কেহ কেহ বলে আমরা বিষ্ণু দাস, আমবা ঈশানোপাসক, এবং কেহ কেহ ভৈরব, অর্ক, গণেশ ও শক্তি উপাসক বলিয়া পরিচয় দিয়া থাকে। কেহ কেহ মদ্য মাংসাশিকাপলিকাচাৰী । ( অহে । ) সেই অদ্বৈতমতের বিরুদ্ধে ছয় প্রকাব ভেদ করিয়াছে । এখন বুঝিতে পাব৷ যাইতেছে যে ভারতবর্ষের সকল প্রদেশেই ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য এই অাৰ্য্য সমাজের অধিকাংশ লোক অতি দীর্ঘ দিন , যাবৎ সাবিস্ত্রীহীন হষ্টয়া কালাতিপাত করিয়াছিলেন । তংপর শঙ্করাচার্য্য, আনন্দগিরি, মাধবাচার্য ও বামাচুজ প্রভৃতি পবিব্রাজক দ্বারা বৈদিক ধৰ্ম্ম তথা উপনয়ন সংস্কার প্রভৃতি প্রচলিত হয় । এই সংস্কাবট মুধু ব্রাহ্মণ সমাজেই প্রচলিত হইয়াছিল। কেন না সেই সকল তত্ত্বজ্ঞানী মহাপুরুষেবা জানিতেন—ব্রাহ্মণ ঠিক্‌ কবিতে পারিলেই ক্ষত্ৰিয় বৈশ্য পরে তাহারাই সংস্কৃত করিয়া লইবেন । কিন্তু