পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

do R কালিদাস । যেমন প্রার্থনা, আশুতোষ আমনি প্ৰসন্ন-হৃদয়ে অনুমতি দিলেন। যে, কাম পুনরুজজীবিত হইয়া আমার সেবা করুন ! দেবতারা পরম আনন্দিত হইলেন । কামের পুনর্জীবন লাভ হইল! মিলনের পূর্বে সংসার কাম-শূন্য ছিল, আজ মিলনের পরে, সংসারে কামের আবির্ভাব হইল। এই চিত্রে, কালিদাস বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের এক অতি নিগুঢ় রহস্যের মীমাংসা করিলেন । কুমারসম্ভবও এক প্রকার সমাপ্ত হইল । তারপর কুমারের অষ্টমে, হরপার্বতীর গন্ধমাদনাদি পর্বত ভ্ৰমণের বিচিত্ৰ বৰ্ণনা । সে বর্ণনা যে প্রকার চমৎকারিণী, তদনুরূপই হৃদয়গ্ৰাহিণী। প্ৰকৃতির সৌন্দর্ঘ্যে যাহার হৃদয় উন্মত্ত, প্ৰকৃতির প্ৰেমে বিহবল হইয়া যিনি সংসার-ত্যাগী, প্ৰকৃতির অব্যৰ্থ আকর্ষণে, যিনি পর্বতে পর্বতে, গুহায় গুহায়, শ্মশানে শ্মশানে ভ্ৰমণ করিয়া বেড়াইতেন, তঁহার সহিত, প্ৰকৃতির প্ৰিয়নিকেতন হিমালয়াত্মজার পর্বতভ্ৰমণ, প্ৰাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য-দর্শন ; উভয়েই উভয়ের জন্য আত্মবিস্মৃতি, শিবের সমস্তই যেন গৌরীময়, গৌরীরও সমস্তই শিবময় ; কল্পনাতীত সুন্দর ভাব ! কালিদাস কুমারের অষ্টমে, সম্মিলিত ‘পাৰ্বতী-পরমেশ্বরের” যে স্বৰ্গীয় মূৰ্ত্তি চিত্ৰিত করিয়াছেন, রঘুবংশের ত্রয়োদশে, সেই , ‘চিত্রীকৃত” প্ৰতিমার প্রাণ-প্ৰতিষ্ঠা করিয়াছেন। জগন্মাতা ও দ্রা জগৎ-পিতা বলিয়া, পার্বতী-পরমেশ্বরের যে সকল ভাব, যে সকল অবস্থা, তাহার একান্ত প্রিয় হইলেও, বর্ণন করা তিনি সঙ্গত মনে করেন নাই, খিন্ন-হৃদয়ে বিরত হইয়াছেন, রঘুবংশে