পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नूड्न সৃষ্টি । SS G. এমনই সুষুপ্ত। কবিকুল-রবি কালিদাস এবংবিধা নায়ক নায়িকার প্রণয় এবং বিরহ উপজীব্য করিয়া মেঘদূত প্ৰণয়ন করিয়াছেন । উন্মাদই মানুষের জীবন। যে হৃদয়ে উন্মাদ নাই, ভাবের তরঙ্গ নাই, তাহা, স্রোতোহীন, শৈবালপূর্ণ, আবিল জলরাশির তুল্য ; ঐ জল যেমন অপেয়, অগ্রাহ ও অস্পৃশ্য, তদ্রুপ উন্মাদহীন—তরঙ্গহীন হৃদয়ও সংসারের অযোগ্য, অরম্য, আভোগ্য। তপস্বীর তপস্যায়, বিষয়ীর বিষয়-বাসনায়, ভোগীর ভোগ-লালসায় সমান উন্মাদ বিদ্যমান। হৃদয়ের উন্মাদ বশতই, দেবর্ষি, বিরক্ত নারদ, নিশিদিন ভগবৎ-সঙ্গীতে আত্ম-বিস্মৃত । হৃদয়ে উন্মাদ ছিল বলিয়াই রাবণ-দুৰ্য্যোধন প্রভৃতি তাদৃশ বিমূঢ় ছিলেন। হৃদয়ের উন্মাদ-প্ৰযুক্তই যক্ষ-যক্ষ-বধূ অহৰ্নিশ ভোগের আবেশে তন্দ্ৰালস ও অবশ্য-চিত্ত। হৃদয়োম্মাদের বশবৰ্ত্তী হইয়াই, একদা অগ্নি-উপাসক পারসীক-গণ, মুসলমান বলের নিকট পরাভূত হইয়া, ইরাণ ছাড়িয়া ভারতবর্ষে আসিয়াছিলেন । হৃদয়োম্মাদ-নিবন্ধনই, শক্তিশালী পিউরিটানগণ, জন্মভূমি পরিত্যাগ-পূর্বক, আমেরিকার গহন কাননে আশ্রয় লইয়া ছিলেন। তাই বলিতেছিলাম, কি যোগী কি ভোগী, সকলের হৃদয়েই উন্মাদ আছে। সেই উন্মাদের পরিমাণানুসারে, তঁহাদিগকে, স্বস্ব অভীপৃসিত ফলভোগ করিতে হয়। মেঘদূতের নায়ক যক্ষের হৃদয়ে ভোগের উন্মাদ ছিল, অথবা ভৌগোন্মাদ ব্যতীত সে হৃদয়ের যেন পৃথগস্তিত্বই ছিল না,