পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

do কালিদাস । ধৰ্ম্ম, যে রাজা সেই সনাতন রাজ-ধৰ্ম্ম-পালনে পরামুখ, তাহার রাজ্যৈশ্বৰ্য্যে বা নিন্দা-মলিন জীবনে প্রয়োজন কি ? আমি এ বিপন্ন ধেনুকে কদাচ পরিত্যাগ করিতে পারিব না । আমার এই দেহ-রূপ। মূল্য দ্বারা তোমার নিকট হইতে ইহার জীবন ক্রিয় করিয়া লইতেছি, তাহা হইলে তোমারও পারণার ব্যাঘাত হইবে না, মুনির হােম-ধেনুরও জীবন রক্ষা হইবে । তুমি মৃগকুলের অধিপতি, তোমার উপর মহাদেব এই বৃক্ষরক্ষার ভার অর্পণ করিয়াছেন, তোমারও এই বৃক্ষের প্রতি কতই না যত্ন, আর আমি, আমার অবশ্য রক্ষণীয় আত্ম-ত্ৰাণক্ষম এই ধেনুকে, তোমার নিকট নিধন করিয়া, বল দেখি, কোন মুখে, নিজে অক্ষত-দেহে আশ্রমে প্ৰত্যাবৃত্ত হইব ? মৃগেন্দ্ৰ ! যদি সত্য সত্যই তুমি আমার প্রতি দয়া-পরবশ হইয়া থাক, তবে আমার অবিনশ্বর যশঃশরীরের প্রতিই দয়ালু হও ; এই নশ্বর পার্থিব শরীরে আমাদের তিল মাত্ৰও আস্থা নাই ।” নন্দিনীর স্বন্ধোপরি উপবেশন-পূর্বক সিংহ দিলীপের এই অলৌকিক বাক্য-বিন্যাস এক মনে শ্রবণ করিতেছিল, যখন দেখিল যে, দিলীপ ধেনুত্যাগে কোন মতেই সম্মত নহেন, বরং নিজের প্রাণত্যাগেই কৃতসঙ্কল্প, তখন সিংহ অগত্যা বলিল, “আচ্ছা, আমি ধেনুর পরিবৰ্ত্তে তোমাকেই গ্ৰহণ করিতে প্ৰস্তুত হইলাম।” আমনি রাজ-রাজেশ্বর, দিলীপও তৎক্ষণাৎ ধনুৰ্বাণ দূরে নিক্ষেপ করিলেন, নিমেষমধ্যে র্তাহার ভুজন্দ্বয়ে পূর্ব-সামৰ্থ্য ফিরিয়া আসিল। তিনি, মাংসপিণ্ডের মত নিজের দেহটি ক্ষুধাৰ্ত্ত-সিংহের মুখের নিম্নে স্থাপন