পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दबाज ! ΑΣ (ξ শ্লোকে, রামায়ণের প্রায় ৫৭টি অধ্যায় বিবৃত করিলেন। বাল্মীকির সহিত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রবৃত্ত হইলেন না। সংসারে স্বার্থের করাল-ছায়া-পাত হইলে, তাহার পরিণাম যে কিরূপ ভয়ঙ্কর হয়, কবি তাহ বর্ণে বর্ণে বুঝাইয়া দিলেন। কৈকেয়ী ভরতকে অযোধ্যার সিংহাসনে বসাইবার আশায় রামকে নির্বাসিত করিলেন, মহাপাপ সঞ্চয় করিলেন। ভরত “রাজ্যতৃষ্ণা-পরাত্মখ’ হইয়া জননী-কৃত সেই মহাপাপের যেন প্ৰায়শ্চিত্ত করিলেন। অপরাধিনী কৈকেয়ী পুত্রের এই দেবেচিত ব্যবহারে মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে মরিয়া গেলেন । নির্বাসিত রাম, সীতা এবং লক্ষণের সহিত, অযোধ্যা ছাড়িয়া অনেক দূরে চলিয়া গিয়াছেন। নিৰ্জন বনে, তাহারা তিনজনে, পরস্পর পরস্পরের অবলম্বন হইয়া, ভ্ৰমণ করিয়া বেড়ান। ক্ষুধার উদ্ৰেক হইলে, বন্য ফলমূলের দ্বারা তাহার কথঞ্চিৎ প্ৰশমন করেন। এই ভাবে যৌবনেই তাহারা বৃদ্ধ ইক্ষ্মাকুগণের কুলব্রত বানপ্ৰস্থ আশ্রয়-পূর্বক, দিনপাত করিতে লাগিলেন। রাজ-পুত্র রামচন্দ্র যখন আতাপ-তাপে একান্ত ক্লান্ত হইয়া পড়েন, তখন বনস্পতির ছায়ায় কখনো উপবেশন করেন, কখনো বা বন-চারিণী মিথিলা-রাজ-নন্দিনীর অঙ্কে মস্তক স্থাপনপূর্বক অবসন্ন দেহে ঘুমাইয়া পড়েন। (১) সমস্ত দিন বনপৰ্য্যটনের পর, সায়ংকালে সৌর-কুল-বধূ জানকী যখন আর চলিতে (১)-রযু, ১৩শ-৩৫ - অত্রানুগোদং মৃগয়া-নিবৃত্তস্তরঙ্গ-বাতেন বিনীত খেদঃ। রহম্বদুৎসঙ্গনিষগ্ন-মূৰ্দ্ধা স্মরানি বানীর গৃহেষু সুপ্তঃ ॥