পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&Os কালিদাস । তাই পূর্বে যে সকল তপস্বিগণ আশ্রম ছাড়িয়া চলিয়া গিয়াছিলেন, ‘নিরুপদ্রব’ ভাবিয়া তাহারা আবার জনস্থানে’। ফিরিয়া, আসিয়া, নূতন নূতন পৰ্ণশালা রচনা করিয়াছেন। “জনস্থান সত্যই এখন জনস্থান হইয়াছে। (১) সেই পূর্ব-পরিচিত জন স্থানের উৰ্দ্ধভাগে আসিয়া যখন পুষ্পক উপস্থিত হইল, তখন করুণাময় রামের হৃদয়ের কবাট যেন সহসা উন্মুক্ত হইল। সেই সমস্ত একে একে, তাহার মনে পড়িতে লাগিল । সেই সীতার অঙ্কে মস্তক-স্থাপন-পূর্বক স্নিগ্ধ তরুচ্ছায়ায় নিদ্রা। ;- সেই সীতার সহিত পর্বতের নির্বারে নির্বারে অভিষেক,-সেই বনকুসুম-সুরভি কুঞ্জে কুঞ্জে ভ্ৰমণ ও শীতল-শিলা-ফলকে উপবেশন, —সব মনে পড়িল । নদীতে সহসা ‘বান’ আসিলে যেমন নদীর জল স্ফীত-স্ফীত হইতে হইতে, তাহার উভয়কূল ভাসাইয়া ইতস্ততঃ বহিয়া যায়, তদ্রুপ, আজ জনস্থান দর্শনে রামের হৃদয়েও যেন পূর্ব-স্মৃতির কুল-প্লাবিনী বন্যা উপস্থিত হইল। সে বন্যায় তঁহার গভীর হৃদয় ভাসিয়া গেল। তিনি উন্মুক্তচিত্তে, সীতাকে জনস্থানের সেই সকল পূর্বানুভূত স্থল-সমূহ দেখাইতে লাগিলেন। জনস্থানে রামের যেমন অনেক সুখের স্মৃতি বিদ্যমান, তেমন তঁাহার দুঃখময় জীবনের অনন্ত দুঃখের স্মৃতিও জনস্থানের। প্ৰতি পর্বতে, প্ৰতি বৃক্ষে, প্ৰতি-পল্পবে, প্রতিপত্রে বিরাজমান। মায়া-মৃগের ছলনা হইতে পরিত্ৰাণ পাইয়া, রাম যখন কুটীরে প্রত্যাবৰ্ত্তনপূর্বক দেখিলেন যে, তাহার সীতা নাই ;-“সীতে। (১) রঘু, ༣༠་ \