পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষড়বিংশ অধ্যায়। । বজাঘাত । রাম-লক্ষণ-সীতা বনে গমন করা অবধি কৌশল্যা ও সুমিত্র আর অন্তঃপুর-কক্ষের বহির্ভাগে আসেন নাই। সীতা-শূন্য সংসারের মুখ দর্শন করেন নাই। কাঁদিতে কাঁদিতে র্তাহীদের নয়ন অন্ধ হইয়াছে। যখন বন-বাস-নিবৃত্ত রাম-লক্ষণ আসিয়া তঁহদের চরণে প্ৰণাম করিলেন, তখন র্তাহারা রাম লক্ষণকে দেখিতে পাইলেন না। বুকের মধ্যে জড়াইয়া ধরিলেন, তঁহাদের এই চতুৰ্দশ বুর্ষের সমস্ত বেদনা-যন্ত্রণা যেন নিমেষে যুড়াইয়া গেল। এতক্ষণে র্তাহারা বুঝিলেন যে, এই আমার রাম, আর এই আমার লক্ষণ। র্তাহারা ধীরে ধীরে পুত্ৰ-দ্বয়ের কলেবরে কর-চালনা করিতে লাগিলেন। পুত্ৰ-দ্বয়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ স্পর্শ করিয়া জননীর প্রাণ কাদিয়া উঠিল। “বীর-প্ৰসবিনী’-শব্দ, ক্ষত্ৰিয়-কামিনীগণের একান্ত অভিপ্রেত হইলেও, তঁহাদের কিন্তু আর উহাতে স্পাহা রহিল না। জানকী এতক্ষণ একপার্থে চিত্রিতার ন্যায় নিস্পন্দ-ভাবে দাড়াইয়া ছিলেন। এইক্ষণে, ‘আমি, স্বামীর অনন্ত ক্লেশ-কারিণী সীতা প্ৰণাম করিতেছি”— বলিয়া, মহিষীদ্বয়ের চরণ-প্ৰান্তে পতিত ১ হইলেন। তখন কৌশল্যা এবং সুমিত্ৰা-উভয়েই যুগপৎ সীতাকে ধরিয়া বলিলেন,-“মা ! উঠ, তোমার পবিত্র চরিত-প্রভাবেই, রাম