পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

QR8 কালিদাস । রাণী ইরাবতী ক্ৰোধে অধীর হইয়া, কঁাদিতে কঁাদিতে যাইয়া পাটরাণীর কাছে অভিযোগ করিলেন । ধারিণী ও তৎক্ষণাৎ ইরাবতীর দুঃখে যেন বিগলিত হইয়াই, মালবিকাকে অবরুদ্ধ করিয়া রাখিলেন। বিদূষক আবার নানাকাণ্ড করিয়া মালবিকার উদ্ধার-সাধন-পূর্বক রাজার সহিত তাহাকে সম্মিলিত করিলেন। ক্ৰমে কথাটা দেশময় ব্যাপ্ত হইল। ধারিণী মনে মনে বুঝিতে পারিলেন যে, আর গোপন করা চলে না । ধারিণী মালবিকাকে বলিয়াছিলেন, “মালবিকে ! যাও, আমার অশোকতরুতে আজও কুসুমোদগম হয় নাই, আমি পারিব না, তুমি যাইয়া দেহদানুষ্ঠান কর, যদি ফুল ফুটে, তবে আমিও তোমার অভিলাষ পূরণ করিব।” ধারিণী জানিতেন যে, মালবিকার অভিলাষ কি ? দুঃখিনী মালবিক মহারাণীর আদেশ-মতে দোহদ করিলেন। অশোকে, দেখিতে দেখিতে, গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল ফুটিল। মালবিকার হতাশ প্ৰাণে আশার সঞ্চার হইল। সত্য-প্ৰতিজ্ঞা ধারিণী পূর্বপ্রতিশ্রুতি অনুসারে, মালবিকার অভিলাষ-পুরণে উদ্যত হইয়া, রাজাকে অনুরোধ করিলেন যে, মালবিকাকে বিবাহ করিতে হইবে। রাজা করেন কি ? পাটরাণীর অনুরোধেই যেন অগ্ৰত্যা স্বীকৃত হইলেন! ধারিণী স্বয়ং বিবাহের সমস্ত উদযোগ করিলেন। বিবাহসভায় সকলেই উপস্থিত। এমন সময়ে, হঠাৎ প্ৰকাশ হইয়া পড়িল, যে, মালবিক পরলোকগত বিদর্ভরাজের কন্যা, বরদা তীর-বৰ্ত্তী --রাজ্যের অধীশ্বর মাধবসেনের সহোদরা । তখন ধারিণীর ফ্লমানন্দ ।