পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

M90 er কালিদাস । রাজা, ইতিপূর্বে কয়েকবারে, মালবিকার কয়েক প্রকার মূৰ্ত্তি দেখিয়াছেন বটে, কিন্তু তঁহার রোষারুণ মুত্তি দেখেন নাই। কবিশ্রেষ্ঠ এবার তঁহাকে সে কমনীয় মূৰ্ত্তিও দেখাইলেন। " মালবিকার কোপরাক্ত মুখচ্ছবি দর্শন করিয়া, রাজা আর আত্মগোপন অথবা আত্ম-বঞ্চনা করিতে পারিলেন না, তঁহার সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। অগ্নিমিত্ৰ-হৃদয়া মালবিক, সহসা হৃদয়েশ্বরের আবির্ভাবে বুঝিলেন যে, তিনি “চিত্রগত ভৰ্ত্তাকে যথার্থ ভৰ্ত্তি ভাবিয়া, তঁহার উপর বৃথা কোপ করিতেছিলেন । । মালবিকায় আর লজ্জার অবধি রহিল না। তিনি ব্ৰীড়ানতবদনে কৃতাঞ্জলি হইয়া বিদিশেখরের অভ্যর্থনা করিলেন । রাজার অন্তঃকরণ-বাহিনী গ্ৰীতিধারা যেন শতমুখে নিৰ্গত হইয়া, মালবিকাকে পরিস্মাত করিল। রাজকুমারী ঘৰ্ম্মাক্তি-কলেবরে, চিত্ৰপুত্তলিকার প্রায়, স্থির-ভাবে দাড়াইয়া রহিলেন। নিপুণ বিদূষক বকুলাবলিকাকে লইয়া হরিণ তাড়াইতে ছুটিয়া গেল। মালবিকার প্রাণ দুরু দুরু কঁাপিতে লাগিল। সেই এক দিন এমনি সময়ে, ধারিণীর উদ্যান-বাটিকায় ইরাবতী আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিলেন, তাহারই ফলে, এত দিন অবরুদ্ধ থাকিতে হইয়াছে। তাই আজ রাজার কোন কথায় আর তিনি উত্তর দিতে সাহস করিলেন না । কথা কহিতেই তাহার সাহসী হইল না । তিনি যেন অন্তরে বাহিরে,-সেই দৃপ্ত সিংহী। ইরাবতীকে দেখিতে পাইলেন। রাজার যত সমর্থ্য, তাহা ত সেই দিন, উদ্যানবাটিকায় যখন ইরাবতী আসিয়াছিলেন, তখনই প্ৰতিপন্ন