পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইরাবতী । , ob & ধারণা যে, রাজা নিশ্চয়ই, তাহার আগমনের পূর্বে আসিয়া, দোলাগৃহে, পূর্বের ন্যায়, তাহার অপেক্ষায় উন্মুখ হইয়া বসিয়া আছেন। কিন্তু ফল বিপরীত হইল। পরিচারিক নিপুণিকাকে । লইয়া দোলাগুহে প্ৰবেশ-পূর্বক, ইরাবতী দেখিলেন যে, সে গৃহ শূন্য, তথায় রাজা নাই। তঁহার বক্ষের পঞ্জর যেন শতধা ভগ্ন হইল। তঁহার জীবনে এই প্ৰথম নৈরাশ্য ! এই প্ৰথম আহবানভঙ্গ । তিনি প্রথমতঃ কত প্রকারে মনকে প্ৰবোধ দিলেন, ভাবিলেন, “হয়ত, আৰ্য্যপুত্র আমাকে অপ্ৰতিভা করিবার উদ্দেশে কোথাও অন্তরিত হইয়া আছেন”—তাই রাণী রাজার অন্বেষণে তৎপর হইলেন, কিন্তু তাহার মুদ্রবিহ্বল চরণ বার বার স্বলিত হওয়ায়, অধিক দূরে যাইতে পারিলেন না। বিদূষক পূর্ব হইতেই রাজাকে উদ্যানে আনয়ন করিয়াছিলেন ; কেননা, তিনি জানিতেন যে, আজ মালবিক অশোকের দোহদ করিতে আসিবেন । রাজা আসিয়াছেন, মালবিকার দেহদানুষ্ঠান সম্পন্ন হইয়া গিয়াছে। রাজা মালবিকার সম্মুখে অনুনয়-পরা হইয়া দাড়াইয়া আছেন, এমন সময়ে রাজান্বেষিণী ইরাবতী, মন্থরপদে আসিতে আসিতে, দূর হইতেই তঁহাদিগকে দেখিতে পাইলেন। • তঁহার প্ৰিয়তম, আজ অন্য রমণীর সহিত, বিশেষতঃ একটি পরিচারিকার সহিত, নির্জনে, রাণীদের উদ্যান-বাটিকায় কেন উপস্থিত ?-ভাবিয়া তঁহার কোমল হৃদয় একেবারে ভাঙ্গিয়া পড়িল । তঁহাদের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া, তিনি রাজাকে R