পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विभूषक। WOQ).S এতাদৃশ মহাত্মারাই সেই সকল বিষয়ে এক প্রকার ধুরন্ধর ছিলেন । • আমরা প্ৰথম অঙ্কে দেখিতেছি যে, মহারাণী ধারিণীর চক্ষে ধূলি নিক্ষেপ পূর্বক, বিদূষক, মালবিকাকে অগ্নিমিত্রের নয়ন-পথ বৰ্ত্তিনী করিবার উদ্দেশ্যে, এক বিচিত্ৰ কৌশল জাল বিস্তার করিয়াছেন। ধারিণী মালবিকাকে আচাৰ্য গণদাসের গৃহে লুকাইয়া রাখিলেন, আর বিদূষক, গণদাস এবং হরদত্ত-দুই আচাৰ্য্যের মধ্যে কৌশলে এমন বিবাদ’ বাধাইয়া দিলেন যে, র্তাহারা প্ৰতিকার-বাসনায় রাজার নিকটে বিচারার্থী হইলেন। এই বিবাদের ফলেই, বিদূষক, মালবিকাকে রাজার গোচর করিলেন । 曹 নৃত্যাবসানে যখন মালবিকা গমনোন্মুখী হইয়াছেন, তখন বিদূষক, কেমন এক কৌশলে মালবিকাকে চিত্ৰাপিতের ন্যায় দণ্ডায়মানা করিয়া, রাজাকে আরও আশা মিটাইয়া পুঙ্খানু । পুখরূপে দেখিবার অবসর করিয়া দিলেনু। মালবিকার নৃত্য তথা আকৃতি দর্শন করিয়া রাজা যে অতিশয় প্রীত হইয়াছেন, ইহা মালবিকাকে উত্তমরূপে বুঝাইবার নিমিত্ত, বিদূষক রাজার হস্তস্থিত সুবর্ণবলয় নৃত্যুের পারিতোষিক বা উপহার দিবার জন্য, যখন তাহা খুলিতে যান, তখন অসুয়াবতী ধারিণী বাধা দিলেন। বিদূষকও এমন একটি কথা বলিলেন, যাহাতে তত্ৰাহ্য সকলেই হাসিয়া পড়িলেন। মালবিকাও হাস্য-সংবরণ করিতে পারিলেন না। বিদূষকের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইল।