পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। so তাহাতে, ইহাকে অন্যান্য অনেক নাটক অপেক্ষা বৃহত্তমও বলা যাইতে পারে। নাটক খানি একবার পড়িলেই, বুঝা যায় যে, কালিদাস, ইহাকে, রসজ্ঞ, শিক্ষিত ও বিশিষ্ট সামাজিকদিগের উপযোগী এবং রুচিকর করিয়া প্ৰণয়ন করিয়াছেন। ইহার কোন স্থলে কোন প্ৰকার কল্পনা-মন্দ্য পরিলক্ষিত হয় না । কোথাও পুনরুক্তি দোষ নাই, রা কোন স্থানে, নিরর্থক কোন বিষয়ের অবতারণা পূর্বক, সামাজিক গণের বিরক্তির উদ্রেক করা হয় নাই। ইহার প্রত্যেক বাক্য, প্ৰত্যেক পদ, প্ৰত্যেক বৃত্তান্তই সুচারু ও চমৎকারিতা-পূর্ণ। নাটক খানি সৰ্ব্বাংশে নিরবদ্য। অপরাপর সংস্কৃত নাটকের ন্যায় ইহার ঘটনাবলী দীর্ঘকালব্যাপী নহে । আবার প্রকৃতি-বিরুদ্ধ ক্ষিপ্ৰতাদ্বারাও ইহার কোন ঘটনাকে বিকলাঙ্গ করা হয় নাই। যেমন একটা অঙ্কুর, বিধাতার অব্যৰ্থ নিয়মে, আপনিই দিনে দিনে বাড়িতে বাড়িতে, ক্রমে ছায়া-প্ৰধান মহীরুহে পরিণত হয়, তদ্রুপ, এই নাটকের ঘটনাও যেন, প্ৰকৃতিবশে আপনি আপনি ঘটিতে ঘটিতে, শেষে একটা প্ৰকাণ্ড ব্যাপারে পরিণত হইয়াছে। অতিপ্ৰকৃতিক কোন ব্যাপারই ইহাতে নাই। মহাকবি, তদীয় বলিষ্ঠ কল্পনা-প্রভাবে, সামাজিকগণের হৃদয়ে, এই নাটক-বৰ্ণিত বৃত্তান্তের একটা স্থায়ী সংস্কার জন্মাইয়া দিয়াছেন। যিনি ইহা একবার পাঠ করিবেন, বা ইহার অভিনয় একবার দর্শন করিবেন, তঁহাকেই চিরদিনের মত, ইহার সৌন্দর্ঘ্যে বিমুগ্ধ থাকিতে হইবে। কখনও এই নাটকের বিষয় বিস্মৃত হইতে পরিবেন না । ইহা সর্বতোভাবে