পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঠের-কোলে দেবেন্দ্রনাথ সাবালক হইবার পর সনাতন দেশে চলিয়া গিয়াছিল ; বহুদিন আর সে কলিকাতায় আসে নাই। কিন্তু দেবেনবাবু সনাতনের ঋণ ভুলিতে পারেন নাই। তাহাকে তিনি পিতার হায়ই ভক্তি করিতেন। সে দেশে চলিয়া গেলে, তিনি তাহার সমস্ত ব্যয় মাসে মাসে মনিঅৰ্ডার যোগে নিয়মিত পাঠাইয়া দিতেন। এই অবস্থায় কয়েক বৎসর কাটিয় ঘাইবার পর সহসা একদিন সনাতন তাহার ক্ষুদ্র নাতনিটীর হস্ত ধরিয়া দেবেনবাবুর গৃহে আসিয়া উপস্থিত হইল। দামুদরের বন্যায় তাহার ঘর বাড়ী জোতজমা সকলি গিয়াছে, এমন কি তাহার পুত্র পুত্রবধূও সেই জলস্রোতের সহিত শেষ যুদ্ধ করিয়া মৃত্যুর কোলে চির শান্তি লইয়াছে। কেবল বহুকষ্ট্রে সে এই ক্ষুদ্র পৌত্রিটকে রক্ষা করিতে সক্ষম হইয়াছে । বহুদিন পরে আবার সনাতনকে দেখিয়া আনন্দে দেবেনবাবুর প্রাণটা একেবারে ভরিয়া গেল, কিন্তু তাহার বিপদের কাহিনী শুনিয়া প্রাণে সত্যই গুরুতর আঘাত পাইলেন, তাহার নয়নে জল আসিল। সনাতনকে. বাড়ীর কর্তারূপে প্রতিষ্ঠিত করিয়া, তাহার ক্ষুদ্র নাতনিটাকে তাহার একমাত্র পুত্রের সঙ্গিনী করিয়া দিলেন। তখন পঙ্কজিনীর বয়স সাত বৎসর আর নরেন্দ্রের বয়স চতুর্দশ বৎসর। তাহার পর ছয় বৎসর কালের স্রোতে ভাসিয়া গিয়াছে। এই ছয় বৎসরের মধ্যে কত পুরাতন কীৰ্ত্তি,—পুরাতন স্মৃতি ধরার অঙ্গ হইঠে মুছিয়া গিয়াছে, আবার কত নূতন সামগ্রী নূতন আলোয়— [ t )