উহাকে হত্যা করিয়াছে। আমাদেরও তাহাই ধারণা হইতেছে। কারণ অসামী পলাতক; সেইজন্য আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস হইতেছে যে, উহার স্ত্রীই উহার হত্যাকারিণী। কিন্তু কি উপায়ে খুন করিয়াছে, বুঝিতে পারিতেছি না। আর হত্যাকারিণী কোথায়, কিরূপে পলায়ন করিয়াছে, তাহাও স্থির করিতে পারিতেছি না।
আমি তখন হতব্যক্তির আচ্ছাদিত শরীর উন্মুক্ত করিয়া তন্ন তন্ন করিয়া পরীক্ষা করিতে লাগিলাম। বাস্তবিক শরীরে বা শয্যাতলে কোন স্থানে রক্তের চিহ্ন দেখিতে পাইলাম না। লাসের মূর্ত্তি বিকটাকার ধারণ করে নাই। কিন্তু মুখে ভয়ানক দুর্গন্ধ—মদের গন্ধে সে গৃহ পর্যন্ত আমোদিত।
আমি তখন কর্ম্মচারীকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনারা -কিরূপে এই হত্যার সম্বাদ পাইলেন?”
কর্ম্মচারী। অদ্য প্রাতঃকালে এই বাটীর একজন চাকর থানায় গিয়া সংবাদ দেয় যে, তাহার মনিব অদ্য প্রত্যুষে হত হইয়াছে। বাবুর স্ত্রী তাহাকে হত্যা করিয়া পলাইয়া গিয়াছে।
আমি। বোধ হয়, আপনারা সেই কথা শুনিয়াই এখানে আসিয়া তদরকে নিযুক্ত আছেন, এবং সেই কথা শুনিয়া প্রথম হইতেই আপনাদিগের ধারণা যে, তাহার নিরুদ্দিষ্ট স্ত্রীই তাহার হত্যাকাণী॥
কর্ম্ম। না, তাহার কথায় আমাদের ধারণা হয় নাই। আদ্যোপান্ত যেরূপ হইয়াছে, শুনুন। শুনিলেই বুঝতে পারিবেন।
এই বলিয়া কর্ম্মচারী অনুসন্ধানে যতদুর জানিতে পারিয়া, ছিলেন, তাহাই বলিতে লাগিলেন। আমি তাঁহার কথা শুনিয়া ঘটনার সারমর্ম এইরূপ বুঝলাম-