والانجيج মহাকালের ধ্যান—মহাকালং যজেদ্দেৰ্য-দক্ষিণে ধূম্ৰবৰ্ণকং মধfজরত > জাগণ বচন শুনিয়া যুধিষ্টির । ছিলেন মিষ্ট বাক্য কোমল গভীর ॥ গগ্য করি আপনারে মানি এতক্ষণ । কারণে এত স্নেহ কর সৰ্ব্বজন ॥ tামি যাহা কছি তাহ অন্য না করিব । নামারে সন্ত্রম করি সকলে মানিব ॥ পতামহ ভীষ্ম ধৃতরাষ্ট্র জ্যেষ্ঠতাত । কুন্তী মাতা ইহার করেন অশ্রপাত ॥ এই সবাকার শোক কর নিবারণ । দশে থাকি সবাকার করহ পালন ॥ ধিষ্ঠির মুখে শুনি এতেক বচন । গ্ৰহণকার করি নিবৰ্ত্তিল প্রজাগণ । মনগ্নি সাগ্নিক শিষ্য সহ দ্বিজগণ । পাণ্ডবের সহিত চলিল সৰ্ব্বজন । সশস্ত্র পাণ্ডবগণ বথ আরোহণে । প্রজাগণে প্রবোধিয়া চলিলেন বনে ॥ উত্তরমুখেতে যমন জাহ্নবীর তটে । রম্যস্থান দেণিয়া রছেন মহাবটে ॥ দিনকর অস্ত গেল প্রবেশে শর্বর্বরী । সেই রাত্রি নির্ববাহিল জল সম্পর্শ করি ॥ চতুর্দিকে দ্বিজগণ অগ্নিহোত্র জ্বলি । বেদধ্বনি শব্দেতে পূরিল বনস্থলী ॥ রজনী প্রভাত হৈল উঠি পঞ্চজন । ঘোর বনে গমন করিলেন তখন ॥ চতুৰ্দ্দিকে মুনিগণ চলিল সংহতি । দেখিয়া বলেন তবে ধৰ্ম্ম নরপতি ৷ আমি সনে বহু দুঃখ পাবে দ্বিজগণ । বিশেষ বনেতে ভয়ঙ্কর পশুগণ ॥ হবে যত দুঃখ শুন তোমা সবাকার ; সে পাপে হইবে নষ্ট মম ধৰ্ম্মাচার ॥ দ্বিজগণ বলে কোথা ঘাইবে নৃপতি । তোমার মে গতি আমা সবার সে গতি ॥ আমা সব পোষণে ত্যজছ ভয় মন । স্বকৃত উপায় করি করিব ভক্ষণ ॥ যুধিষ্ঠির বলিলেন দেখিব কেমনে । - মম সহ রহি হুখ পাবে দ্বিজগণে ॥ - ধিক ধৃতরাষ্ট্র রাজা দুষ্ট পুত্ৰগণ । এত বলি অধোমুখে রহেন রাজন ॥ সৌনক নামেতে ঋষি বুঝান রাজারে । স্থললিত শাস্ত্র বলি বিবিধ প্রকারে ॥ শোক স্থান সহস্ৰ শতেক ভয় স্থান । তাহাতে মূচ্ছিত হয় মূর্থ যে অজ্ঞান ॥ পণ্ডিত্ত জনের তাহে নহে মুগ্ধমন । তুমি হেন লোক শোক কর কি কারণ { অর্থ হেতু উদ্বেগ ত্যজহ নরপতি । অনর্থের মূল অর্থ কর অবগতি ॥ উপার্জনে যত কষ্ট ততেক পালনে । ব্যয়ে হয় তুঃখ আর ক্ষয়েতে দ্বিগুণে ॥ অর্থ যার থাকে তার সদ। ভাত মন । তার বৈরী রাজা অগ্নি চোর বন্ধুজন ॥ অর্থ হৈতে মোহ হযু অহঙ্কার পাপ । । অত্যন্ত উদ্বেগ হয় সদ মনস্তাপ ॥ এ কারণ অর্থ চিন্তা ত্যজহ রাজন । সৰ্ব্ব পূর্ণ হ’লে তৃষ্ণ নাহি নিবারণ ॥ যাবৎ শরীরে পাপ তৃষ্ণ নাহি টুটে । সাধুজন এই তৃষ্ণ জ্ঞান অস্ত্রে কাটে ! সন্তোষ সাধুর অস্ত্র তৃষ্ণ নিবারণ । ইন্দ্র সম অর্থে তুষ্ট নহে জ্ঞানীজন ॥ অনিত্য এ ধন জন অনিত্য সংসার । ইহার মায়াতে ডুবি ক্লেশ মাত্র সার । এই সব স্নেহেতে মোহিত যত জন । অচিন্তিত কোথা দেখিয়াছ হে রাক্তন ! ধৰ্ম্ম করিবারে যদি উপার্জয়ে ধন ; বিচলিত হয় মন ধনের কারণ ॥ মহারাজ জীন ধন পাপ পঙ্ক’বং । পঙ্কেতে নামিলে তনু হয় পঙ্কাবৃত ॥ নিশ্চয় হইবে দুঃখ পঙ্ক ধুইবারে । সাধু যে, সে নাহি যায় সেই পঙ্কোপরে ॥ ধৰ্ম্মে যদি প্রয়োজন থাকয়ে রাজন । এ সকল পাপতৃষ্ণ কর কি কারণ ॥ | সৌনক-বচন শুনি কহিলা নৃপতি । মম কিছু তৃষ্ণ নাহি রাজ্যধন প্রতি ॥
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/২৩৪
অবয়ব