[ মহাভারত | ૭6:૭ নিতম্ববিস্বদ্ধিরদূরোমরাজিবরাঙ্কুশাং । রথ ফিরাইয়া নিল রথের সারথি । ক্রোধভরে আইল অর্জন ধনুৰ্দ্ধর । T ভঙ্গ দিল কুরুবল যত সেনাপতি ॥ ইহ সম বীর নাহি সংগ্রাম ভিতর ॥ ভঙ্গ দিল আপনি নৃপতি দুৰ্য্যোধন । সৰ্ব্ব সৈন্তে আদেশিল কর্ণ মহামতি । সৈন্যগণ লন গিয়া কৃষ্ণের শরণ ॥ সবে মেলি মার আজি পার্থ মহামতি ॥ যুঝিতে আইল কর্ণ দেখি সৈন্যভঙ্গ । অশ্বথাম দুঃশাসন বীর আদি করি । জ্বলন্ত অনল যেন দেখিতে তুরঙ্গ । পাণ্ডবের সৈন্য সব বরিষয়ে শর। বেড়িয়া মারয়ে সব কর্ণ ধনুৰ্দ্ধর ॥ সাত্যকিরে বিন্ধিল বিংশতি মহাশরে । শিখণ্ডীরে দশ বাণ পঞ্চ বৃকোদরে ॥ ধৃষ্টদ্যুম্ব শত বাণ মারে বজ্র শরে । সপ্তদশ বাণ মারে দ্রুপদকুমারে ॥ সংশপ্তকে মারে সহদেব দশ শর । সাত বাণ মারিল নকুল ধনুৰ্দ্ধর ॥ ক্রমেতে বিন্ধিল ভীম ত্রিশ মহাশর । সব শর নিবারিল কর্ণ ধনুৰ্দ্ধর ॥ হাসিয়া বিজয় ধনু লইলেক হাতে । বাণাঘাতে সৰ্ব্ব সৈন্ত যায় চতুৰ্ভিতে ॥ সত্যকির ধ্বজ কাটি কাটে শরাসন । আর বাণ হৃদয়ে বিন্ধিল সেইক্ষণ ॥ রথ শূন্য হইলেন সাত্যকি তখন । তিন বাণে সারথিরে করিল নিধন ॥ নিমিষে বিমুখ কৈল সব ধনুৰ্দ্ধর । ভীত হ’য়ে সৈন্য সব পলায় সত্বর ॥ দুরে থাকি দেখেন অৰ্জ্জুন মহাবীর । দেবাহুর যুদ্ধে যার নির্ভয় শরীর ॥ কৃষ্ণেরে বলেন মহাবীর ধনঞ্জয় । হের দেখ কর্ণবীর যুঝয়ে নির্ভয় ॥ ভাঙ্গিল পাণ্ডব-দল সৈন্য দিল ভঙ্গ । পলাইয়া যায় যেন আকুল তরঙ্গ ॥ ঝাট রথ চালাও গোবিন্দ মহাবল । সংগ্রামে মারিব আজি কৌরব সকল ॥ হাসিয়া চালান রথ গোবিন্দ সারথি । দুরে থাকি রণ দেখে কুরু নরপতি ॥ কর্ণেরে বলিল তবে রাজা দুৰ্য্যোধন । হের দেখ আম্লিতেছে নর নারায়ণ ॥ অর্জনেরে বেড়িল যে কৰ্ণ আগুসরি ॥ অৰ্জ্জুনের বাণে সব বিমুখ হইল । । হাতে অস্ত্র কণবীর রণে প্রবেশিল ॥ সাত্যকি বিন্ধিল বাণ কণ বিদ্যমান । কাটিয়া সকল সৈন্য করে খান খান ॥ গদা ল’য়ে ভীমসেন করে মহারণ । সহস্ৰ সহস্ৰ পড়ে গজ অগণন ॥ ! তবে দুঃশাসন বীর বাছি মারে শর। তিন বাণে বিন্ধিল ভীমের কলেবর ॥ কাটিয়া হাতের ধনু রথের সারখি। শরেতে জর্জর হৈল ভীম মহামতি ॥ মত্তগজ সম বীর গদা ল’য়ে হাতে । যম সম আইলেন সংগ্রাম করিতে ॥ গদা ফেলি মারিলেন দুঃশাসন শিরে । দুঃশাসন পড়ে শত ধনুক অন্তরে ॥ সারথি কবচ অশ্ব আর শরাসন । গদার প্রহরে চুর্ণ কৈল সেইক্ষণ ॥ রথেতে পড়িল যদি বীর দুঃশাসন । পূর্বের্বর প্রতিজ্ঞা ভীম করিল স্মরণ ॥ শীঘ্ৰ গেল যথায় পড়িল দুঃশাসন । রথ হৈতে লাফ দিয়া পড়ে সেইক্ষণ ॥ দাণ্ডাইয়া দেখে যত কৌরব কুমার । বাহু আস্ফালিয়া ভীম বলে বার বার } আমি দুঃশাসনের করিব রক্তপান । কার শক্তি ইহারে করিবে পরিত্রণি ॥ ক্রোধমনে ভীমসেন কহে উচ্চৈঃস্বরে । হইয়া রাক্ষস মূৰ্ত্তি সংগ্রাম ভিতরে ॥ অতি ক্রোধে ভীমসেন সংগ্রামে অপরি খড়গ ল’য়ে বিদারিল হৃদয় তাহার ॥ করিয়া শোণিত পান কহে বৃকোদর ৷ অযুতে পুরিল আজি মম কলেবর । ,
