পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৯১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বর্গারোহণ পৰ্ব্ব i ] রসমঞ্জরীর ধান-হংসপক্ষরুচিরেণ বাসসা— సె 6 ) জিজ্ঞাসিল যুধিষ্ঠিরে কপট ব্রাহ্মণ । বড় পুণ্যবান তুমি এলে কোনজন ॥ এত শুনি নৃপতি কহেন যোড়করে। পরিচয় মহাশয় কহিব তোমারে ॥ জম্বুদ্বীপ নামে এক আছে পৃথিবীতে । যাহে জন্মিলেন ব্ৰহ্মা ভার নিবারিতে ॥ চন্দ্রবংশে দেব অংশে হস্তিনীয় ধাম । পাণ্ডুপুত্ৰ ঋষিগোত্র যুধিষ্ঠির নাম ॥ রাজ্যলোভে সবান্ধবে বধিলাম রণে । লোভে পপি আছে তাপ হৈল মম মনে ॥ জ্যেষ্ঠতাত সহ মাতৃ গেল তপোবনে । পঞ্চ ভাই দুঃখ পাই ভ্ৰমি নানা স্থানে ॥ আমারে বিষাদ দেখি দেব নারায়ণ । আজ্ঞা দেন কর রাজা স্বৰ্গ আরোহণ ॥ কলি অবতার হবে দ্বাপরের শেষ । এত বলি স্বস্থানে গেলেন হৃষীকেশ ॥ যত্নবংশ করি ধ্বংস ব্ৰহ্মশাপ ছলে । আপনি বৈকুণ্ঠে বিষ্ণু গেলেন কৌশলে । তবে মোরা পঞ্চভাই করিয়া বিচার । পৌত্রে সমপণ করি রাজ্য অধিকার ॥ পঞ্চভাই ভাৰ্য্যা সহ তাসি স্বর্গপথে । হিম শীতে পঞ্চজন পড়িল পৰ্ব্বতে ॥ শোক দুঃখ সন্তাপে তাপিত মম মন । এই নিজ তত্ত্ব দ্বিজ করি নিবেদন ॥ একেশ্বর দ্বিজবর যাব স্বৰ্গপুরী । স্থমেরু পৰ্ব্বতে গিয়া দেখিব মুরারী ॥ কিম্ব প্রাণ যাক কিম্বা যাই স্বৰ্গপুরে । করিয়া সঙ্কল্প এই আসি এতদূরে ॥ কতদূর আছে স্বর্গ কহ দ্বিজবর । যাইতে পারিব, কিবা যাবে কলেবর ॥ ব্রাহ্মণ বলেন শুন ধৰ্ম্ম নরবর। এখনি দেখিবে রাজা পঞ্চ সহোদর ॥ কুরুক্ষেত্রে যে ছিল আঠার অক্ষৌহিণী । সবাকারে ক্ষণেকে দেখিবে নৃপমণি ॥ এড়াইয়া এলে দুঃখ আর চিন্তা নাই । আমি ল’য়ে যাব তোমা ঈশ্বরের ঠাই ॥ | নিকট হইল স্বর্গ যাবে মুহুর্তেকে । শোক দুঃখ পরিহর জানাই তোমাকে ॥ ইন্দ্র যুধিষ্ঠিরে কথা হয় এইমতে । তথা ধৰ্ম্ম আইলেন কুকররূপেতে ॥ শব্দ করি ব্রাহ্মণে খাইতে শ্বান যায়। দণ্ড লৈয়া ব্রাহ্মণ মারিল তার গায় ॥ নির্ঘাত প্রহার করে কুকুরের দেহে । পরিত্রাহি ডাকি শ্বান যুধিষ্ঠিরে কহে ॥ ; ওহে পৃথিবীর রাজা মহাপুণ্যবান । নির্দয় ব্রাহ্মণ বধে কর পরিত্রাণ ॥ দণ্ডের প্রহারে মম কম্পবান তনু । উদ্ধার করিতে কেহ নাহি তোমা বিনু ॥ কুকুরের বাক্যে রাজা উঠি যোড়হাতে । বলেন বিনয় করি বিপ্রের সাক্ষাতে ॥ নাহি মার কুক্করের শুন দ্বিজবর । শুনিয়া বিপ্রের ক্রোধ বাড়িল বিস্তর ॥ হাতে দণ্ড করি বলে নৃপতির প্রতি । মম হাতে কুকুরের নাহি অব্যাহতি ॥ পুণ্যহীন কুকুরের নাহি পরিত্রাণ । পুণ্য বিনা স্বগে বাস নাছি মতিমান ॥ ! ভূপতি বলেন রাখ কুক্করের প্রাণ । ! মর্ত্যের অৰ্দ্ধেক পুণ্য দিব আমি দান ॥ যুধিষ্ঠির বাক্য শুনি ধৰ্ম্ম হাসি মনে । ধরিলেন নিজ মূৰ্ত্তি রাজা বিদ্যমানে ॥ তদন্তরে দেবরাজ নিজ মূৰ্ত্তি হৈয়া । পরিচয় কহিলেন হাসিয়া হাসিয়া ॥ ধৰ্ম্মে ইন্দ্রে দেখি রাজা আপন নয়নে । i লোটাইয়া পড়িলেন অষ্টাঙ্গ চরণে ॥ কোলে করি ধৰ্ম্ম সাধু বলেন র্তাহাকে । তুমি পুত্র যুধিষ্ঠির না চিন আমাকে ॥ ধৰ্ম্ম বলি মর্ত্যলোকে বলয়ে তোমারে । তোমা জন্মাইনু আমি কুন্তীর উদরে ॥ এই ইন্দ্র দেবরাজ স্বর্গ অধিপতি । এস পুত্র কোলে করি কেন ছঃখমতি ॥ তোমার চরিত্র প্রচারিল ত্রিভুবনে । স্বৰ্গপুরে চল, চড়ি পুষ্পক বিমানে ॥