কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ জ যাইবে যে, একই আসনে, একই পরিচ্ছদে তিন চারিখানি ছবি লওয়া হইয়াছে এবং প্রত্যেক ছবিটিই যে স্বতন্তু, তাহা বেশ বুঝিতে পারা যাইৰে। তিনি ইচ্ছামত মুখের ও শরীরের গঠন সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন করিতে পারিতেন, এইটিই তাঁহার বিশেষ লক্ষণ ছিল। আমরা হঠাৎ তাঁহার মুখভঙ্গির পরিবর্তন ও দুক্ষ্যেদন দেখিয়া ত্রস্ত, চমকিত ও উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিলাম। ইতিপূর্বে যাহাকে সাধারণ লােক বলিয়া দেখিতেছিলাম, যিনি সাধারণ লােকের মত নানাবিধ হাসি তামাসা, ঠাট্টা করিতেছিলেন এবং যাহার সাধারণের সহিত বিশেষ পার্থক্য ছিল না, হঠাৎ তাঁহাকে দেখিলাম, “উপর্যুপরি সর্বোেমাদিত্য ই তেজসা” সূর্য যেমন পৃথিবী ও নানা গ্রহের ভিতর তেজঃ দ্বারা আপনার প্রাধান্য সর্বোপরি রাখেন, সেইরূপ সহসা তাঁহার দেহের ভিতর হইতে তেজঃ বাহির হইয়াছিল। অল্পক্ষণ পরে আমাদের হৃদয়ে হর্ষ ও ভীতি এক সময়ে উদ্বেলিত হইয়া উঠিল। দেখিতেও অসমর্থ, না দেখিতেও অসমর্থ। অদ্যাপি সেই দৃশ্য মনে করিলে চিত্ত প্রফুল্ল ও আনন্দিত হইয়া উঠে, এবং পুনরায় তাহা দেখিতে নিতান্ত ইচ্ছা হয় অস্পষ্টভাবে কখন কখন যেন দেখি ও তখন মনে হয় : “ঐ যেন সেই পাগল আমার, দেখছি যেন মুখখানি তাব”। মঃ ভাঃ, নােপাখ্যান, শ্লোক ২।