পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৭৯
কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ
৭৯

কাশীধামে কামী বিবেকানন্দ জনসাধারণের বিশেষ কল্যাণ হইবে। অর্থব্যয় বিষয়ে তিনি স্বয়ংই ভার গ্রহণ করিবেন। স্বামিজীর শরীর অসুস্থ ছিল, এই নিমিত্ত কর্মে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইলেন না। কৈবলমাত্র কহিলেন —এখন কলিকাতায় প্রত্যাবর্তন করিবেন, তাহার পর শরীর সুস্থ হইলে কর্মের প্রতি মনােযােগ করিবেন। এইরূপ নানা- প্রকার বাক্যালাপের পর স্বামিজী ও মহাপুরুষজী নিজ ভবনে প্রত্যাবর্তন করিলেন। পরদিবস ভিজা রাজার এক কর্মচারী আসিয়া স্বামিজীকে একখানি বদ্ধপত্র দিলেন, তাহা উন্মুক্ত করিলে ৫০০ শত টাকার একখানি চেক স্বামিজীর আতিথ্য-ৰূপ লক্ষিত হইল এবং তৎ অন্তঃস্থিত পত্রেও তদ্রুপ উল্লেখ ছিল। স্বামিজী সন্নিকটস্থিত শিবানন্দজীকে উল্লেখ করিয়া কহিলেন, “মহাপুরুষ, আপনি এই টাকা লইয়া কাশীতে ঠাকুরের মঠ স্থাপন করুন।” এই অর্থ লইয়া মহাপুরুষজী একটি উদ্যান ভাড়া করিয়া “রামকৃষ্ণ অদ্বৈত আশ্রম” স্থাপন করেন এবং পরে সেই উদ্যান ক্রয় করিয়া বতমানে স্থায়ী মঠ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। একদিন অপরাহু বেলা ৫ ঘটিকার সময় কালিদাস মিত্র মহাশয় স্বামিজীকে দর্শন করিতে আসিলেন; প্রমদা দাস মিত্র মহাশয়ের পুত্র এইজন্য স্বামিজী অতীব হর্ষিত হইলেন। তাঁহার পিতার সহিত স্বামিজীর বিশেষ হৃদ্যতা ছিল এবং পরিব্রাজক অবস্থাতে স্বামিজী ও তাঁর গুরুভাইরা অনেক