कौमांथ bro মারিয়া দেখিতেছে। কমলা কঁাদিয়া অঞ্চল দিয়া চক্ষু আবৃত করিল। প্রিয়বাবু অতিশয় কাতর হইলেন ; বলিলেন, কেন কঁাদিস মা ? বাবা, আমরা যেন কেউ কারো নয়। প্রিয়বাবু ধীরে ধীরে কন্যাকে আপনার বুকের কাছে টানিয়া লইলেন । ধীরে ধীরে অতি মৃদুস্বরে বলিলেন, ছিমা, ও কথা কি মুখে আনে ? তুই যার মেয়ে সে যে আমার সর্বস্ব ছিল ; এখনও রোজ রাত্রে সে আমার পায়ের কাছে এসে বসে থাকে-শুধু তোদের ভয়ে দিনের-বেলা আসে। না। সন্ধ্যা হয়ে আসছে, যদি সে এসে তোর এ কথা শুনতে পায় তা হ’লে মনে বড় দুঃখ পাবে । তখন সন্ধ্যা হইয়া আসিতেছিল, ঘরটায় অন্ধকারও হইয়াছিল ; কমলা সচকিতে চতুদিকে চাহিয়া দেখিল, বাস্তবিক কেহ ঘরে আসিয়াছে কি না ! কেহ কোথাও নাই দেখিয়৷ আশ্বস্ত হইল। সে যখন বাহিরে আসিল, তখন তাহার পা কঁাপিতেছিল ; শরীর এত দুর্বল বোধ হইতেছিল, যেন অৰ্দ্ধেক রক্ত কেহ বাহির করিয়া লইয়াছে। তাহার কাজকৰ্ম্ম সমাপ্ত করিয়া, যে ঘরে কাশীনাথ মাটির উপর আসন পাতিয়া প্ৰদীপ জ্বালিয়া পুথি খুলিয়া বসিয়াছিল, সেইখানেই গিয়া উপবেশন করিল। কাশীনাথ মুখ তুলিয়া দেখিল, কমলা। বিস্ময়ে বলিল, তুমি যে ? আমি এসেছি । ব’স, বলিয়া কাশীনাথ আবার পুথিতে মনঃসংযোগ করিল। কমলা বহুক্ষণ ধরিয়া তাহার পুথি পাঠ দেখিল, তাহার পর হাত দিয়া পুথি বন্ধ করিয়া দিল। কাশীনাথ আশ্চৰ্য্য হইয়া মুখ তুলিয়া বলিল, বন্ধ করলে যে ? দুটো কথা কও। রোজ পড়-একটু না পড়লে ক্ষতি হবে না। এই জন্যে বন্ধ ক’রে দিলে ? শুধু তাই নয় ; বিরক্ত হবে, বকবে- এজন্যও বটে। কাশীনাথ অল্প হাসিয়া বলিল, কেন বিরক্ত হব। কমলা ; তােমাকে কখনও কি আমি বকেছি ? কথা কও না, কাছে এস না, বই না পড়লে কেমন ক’রে দিন কাটাব বল দেখি ? একটু হাসিয়া বলিল, জ্বর হয়েছে, আজি দুদিন কিছুই খাই নি, তা তুমি ত একবারও খোজ নাও নিী
