ব্যথা জাগিয়া উঠিল, আমি এত সুখী, আর মিষ্টার ঘোষ? যদি সত্যই তিনি আমাকে ভাল বাসিয়া থাকেন—তাঁহার প্রতি কত দূর অন্যায় করিয়াছি? আমার ভাবনা কি ইহারে মস্তিষ্ক স্পর্শ করিল! হঠাৎ বলিয়া উঠিলেন—“ও: একটা মস্ত খবর আছে!-কুসুমের সাতগে রামনাথের বিবাহ? What a humbug—beg your pardon, I mean what an examplary lover —
আর বেশী কিছু না বলিতে দিয়াই আমি বলিলাম—‘সত্যি নাকি? কবে?”
“আমাদের বিবাহের এক সপ্তাহ আগে।” গাছের আড়াল হইতে নবেদিত চন্দ্রের জ্যোতি ইহার মুখে প্রস্ফুরিত হইয়া উঠিল। আমি মুগ্ধ নেত্রে সেই রূপের জ্যোতি পান করিতে লাগিলাম।
দুই কলায় মাত্র অসম্পূর্ণ ত্রয়োদশীর নির্ম্মল চন্দ্র নীলাম্বর তলে ভাসিয়া উঠিয়াছে, শেফালিকা রাশি আমাদের সর্ব্বাঙ্গ স্পর্শ করিয়া সুগন্ধে জ্যোস্নালোক বিকম্পিত করিতে করিতে কাননতলে তারার মত ঝরিয়া পড়িতেছে। শরতের জ্যোৎস্না ঈষৎ স্নানাভ, তাহার ছায়া ছায়া আলোক আমাদের অতি সুখে ম্রিয়মান হৃদয়ের মত বিষাদ স্নিগ্ধ অতি কোমল মধুর।
থাকিয়া থাকিয়া আমি বলিলাম—“আচ্ছ আপনি-কি ক’রে——”
“আবার আপনি? তবে আমি শুনবনা।”
“আচ্ছা আচ্ছা তুমি,—কি করে তুমি আমাকে এতটা দুঃখ দিলে? যখনি আমার কথা থেকে বুঝলে তোমার সঙ্গেই বাবা সম্বন্ধ করেছেন—তখন সেটা—