হইতে কেমন একটা বেতর বেসুরো স্বর খট করিয়া কাণে বাজিল! ভগিনীপতি আবার ইহার পর ঠাটা করিয়া প্রকাশ্যেই বলিলেন—
Full many a gem of purest ray serene
The dark unfathomed caves of ocean bear,
Full many a flower is born to blush unseen
And waste its sweetness on the desert air.
দিদির নন্দাই সংস্কৃতে এম্ এ দিয়াছেন, তিনিই বা বিদ্যা ফলাইবার এমন সুযোগ ছাড়িবেন কেন; তিনিও গোঁপে তা দিতেদিতেবলিলেন—“ন রত্ন মন্বিষ্যতে মৃগ্যহে হিতৎ—রত্ন কাহাকেও অন্বেষণ করে না—তাহাকে অন্বেষণ করিয়া লইতে হয়।
সকলের মুখেই বেশ একটু হাসি ফুটিল; এইরূপে হাস্যাম্পদ হইয়া ইহার কারণকে যে আমি বিশেষ প্রীতির নজরে দেখিয়াছিলাম এমনটা ঠিক বলিতে পারিড়েছি না—কিন্তু এ ঘটনা হয় টেনিস খেলার আগে,—খেলার পরে একটু অবস্থান্তর ঘটিল। উদ্যান চইতে সকলে গৃহে সম্মিলিত হইলে তিনি গান গাহিতে অনুরুদ্ধ হইয়া প্রথমে গাহিলেন ইংরাজিগান; দিদির তাহাতে মন উঠিল না, দিদি ধরিয়া পড়িলেন—“বাঙ্গালা গান গাহুন;”—অনেক আপত্তি প্রকাশ করিয়া অনেক ইতস্ততঃ করিয়া অবশেষে নাচারে পড়িয়া তিনি বাঙ্গাল গানই আরম্ভ করিলেন। কিন্তু কি আশ্চর্য্য ব্যাপার। এ যে ছেলে বেলার ছোটুর সেই গান!
হায়, মিলন হোলো—যখন নিভিল চাঁঁদ বসন্ত গেলো। কেবল ছোটুর অস্পষ্ট গুণগুনাণি নহে। দিদি তাঁহার গানের