কল করতে এসেছেন দেখছি। আচ্ছা এইখানে আসতে বল।— মণি তুমি যাও—তোমার দিদিকে ডেকে আন।”
আমি চলিয়া গেলাম, গৃহপার হইয়াই প্রায় তখনি নুতন কণ্ঠ শুনিতে পাইলাম, কৌতুহল-বশবর্ত্তী হইয়া ভাবিলাম—লোকটার চেহারাখানা কি রকম একবার দেখিয়া যাওয়া যাক। দরজার আড়ালে নিজে অদৃশ্য থাকিয়া নবাগতকে দেখিবার প্রয়াস করিলাম। আপনাকে ভাল করিয়া ঢাকিয়া তাঁহাকে দেখিবার তেমন সুবিধা হইতেছিল না—এদিকে একবার ও দিকে একবার ফেরাফেরি করিতে করিতে তাহদের কথাবার্ত্তা কাণে যাইতে লাগিল। তখন দর্শন কৌতুহলবিরহিত হইয়া শ্রবণ-কৌতূহলে বাধা পড়িলাম। ভগিনীপতি ডাক্তারকে অভ্যর্থনা করিয়া বসাইয়াই মুহূর্ত্তের জন্য বিদায় লইয়া মক্কেলের সহিত দেখা করিতে গেলেন। দুইজনে একাকী হইবামাত্র ডাক্তার বললেন—
“By the way, I met Miss K, just before leaving England. She seemed very anxious to know whether you had arrived safely and why you did not send her the money you had promised for her passage out to India. You know her people will have nothing to do with her since her engagement to you, so the poor girl—”
আমার সর্বাঙ্গ কাপিতে লাগিল, দেয়ালে ঠেস দিয়া আমি প্রাণপণে বলসংগ্রহ করিয়া দাঁড়াইয়া বুছিলাম।
তিনি! Nonsense, there was never any formal engagement between us, I thought that affair was