বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কাহাকে?.djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
কাহাকে?

বুঝি? তোর সঙ্গে যদি কিছুতে পারা যায়! আচ্ছা নিজের জন্য না হোক আমাদের কষ্ট মনে ক’রেও কি সাবধান হতে নেই।

 আমি বলিলাম—“কই অসাবধান ত আমি মোটেই হই নি—”

 দিদি। “তবে হঠাৎ অমনতর হোল কেন? কাল যে ভাবনা গেছে—তা আর বলার নয়। দরজার কাছে গিয়েই দেখি—তুই পড়ে। চেঁচিয়ে উঠতেই এঁরা ওঘর থেকে এসে পড়লেন। ভাগ্যিস ডাক্তার কাছে ছিল—তাই রক্ষে। আহা রমানাথ বেচারার যে মুখ শুকিয়ে গিয়েছিল সে আর কি বলব! তাপর তোকে ত ঘরে উঠিয়ে আনা গেল, সে একবার দেখেও যেতে পারলে না, শুনলুম নাকি ভারী বিষণ্ণ হয়ে বাড়ী গেছে।”

 আমি বলিলাম-ক্রুদ্ধ বিদ্রুপের স্বরে বলিলাম-“বিষণ্ণ হয়ে বাড়ী যেতে পারেন কিন্তু সে আমার অসুখের জন্যে নয়-নিজে ধরা পড়েছেন—সেই জন্যে। দিদি আমরা নিতান্তই ভুল বুঝেছি, প্রতারিত হয়েছি”—

 বলিতে বলিতে নয়ন অশ্রুতে ভাসিয়া উঠিল, অগ্নিময় ক্রোধাশ্রুতে ভাসিয়া উঠিল। দিদি উৎকণ্ঠিত স্বরে বলিলেন—

 “তোর কথা ত কিছুই বুঝতে পারছিনে—কাল কি তোকে ঐ ভাবের কথা কিছু বলেছে নাকি? কঁদিস নে আবার অসুখ করতে পারে—স্থির হয়ে সব বল দেখি কি হয়েছে।”

 স্থির হইয়া না পারি অস্থির ভাবেই সমস্ত খুলিয়া বলিলাম। দিদি শুনিয়া যেন হাঁফ ছাড়িয়া বলিলেন—“তবু ভাল এই ব্যাপার? আমার এমন ভয় হয়েছিল—যে না জানি কি!”

 আমি ক্রুদ্ধস্বরে বলিলাম—“না জানি কি! একজনের সঙ্গে