হয়—তাও বুঝবে-আর যদি উভয়তঃ ভুল বোঝার জন্য এরূপ ঘটে থাকে তাও সহজে মিটে যাবে”
আমি আস্তে আস্তে সজলনেত্রে দিদিকে বলিলাম—“দিদি তোমার দুটি পায়ে পড়ি তাঁর কাছে আর একথা পাড়তে বলো না; একি কেনা বেচা যে আপনার সুবিধা বুঝে ক্রমশঃ দর কমাতে হবে? যদি তিনি সত্যি ভালবাসেন-ত তিনিই আবার বলবেন। বারণ করো—তাঁকে কোন কথা বলতে।”
ভগিনীপতি চিন্তিতচিত্তে গৃহে পদশ্চারণ করিতেছিলেন; আমার কথায় দিদি কোন কথা কহিবার আগেই তিনি বলিয়া উঠিলেন—“Well! আমি কি করব ঠিক বুঝতে পারচিনে। I am disgusted with the whole thing I must say. দেখা যাক যে আপনা হতে আর কিছু বলে কি না, এদিকে আমিও তার সম্বন্ধে যতটা পারি সব information নেব এখন। ডাক্তারের সঙ্গে দেখা হয়েছিল—কাল টেনিসে আসতে বলেছি। বিলাতের ব্যাপারটাও তাকে জিজ্ঞাসা করা যাবে—তাহলে লোকটার ভাব অনেকটা ঠিক ধরতে পারব। কিন্তু কথা হচ্ছে আর একটা,—কাল বার লাইব্রেরিতে ঢুকব কি করে?”
দিদি বলিলেন—“আমি ভাবছি বাবার জন্যে। তাঁর কাণে কথাটা উঠলে তাঁর নাজানি কিরূপ কষ্ট হবে!”
আমিও তাহাই ভাবিতেছিলাম, এত ভাবনার মধ্যে সেই ভাবনাতেই আমাকে অধিকতর কাতর করিয়া তুলিয়াছিল।