কিরণ মালা । ミ○ মধু পান করিবার সময় কত মধুকর জীবন দান করিত, এখন তোমার জীবন মায়, তবু কেহ ফিরিস্কা দেখে না। সে সময় কত ভাবুক, কত প্রেমিক কবিগণ তোমার শোভা দর্শনে, সৌরভ ও সৌন্দর্ঘ্যের বর্ণনা করিয়া গৌরব বাড়াইতেন, কত দেব দেবী, সুন্দরী নারীর রূপ বর্ণনার স্থল ছিলে, কত ব্রাহ্মণ পণ্ডিতগণ দেবানুষ্ঠানার্থে, প্রাতঃস্নান করিয়া স্তব পাঠ করিতে করিতে, তোমার উদ্দেশে সরোবরে গমন করিতেন। সরো জিনি । তখন তুমি সকলের আদরিণী ছিলে, এখন সে মুখ স্বৰ্য্য সমুদিত হইয়া তোমাকে আর বিকশিত করিবে না। ভ্রমরও আসিবে না, সুখের কথাও কহিবেনা। বলিতে কি ? ছি ! কমলিনী ! তুমি বুঝিতে পার নাই, তাই শঠ ষঠপদের ক্ষণ ভঙ্গুর প্রেমে ভুলিয়া ছিলে, সে বঞ্চকের তোমার মৰ্ম্ম কি জানিবে, তুমি সরল স্বভাব, কোমলতায় পূর্ণ, তোমার গুণ গুণী গণেই বুঝিতে পারিবে। অতএব আর প্রতারক ভ্রমর কটাক্ষে দুলিও মা ; যদি না তুলিতে, তাহা হইলে তোমাকে এ দুঃখ ভোগ করিতে হইত না ; তাই বলি পঙ্কজ ! এখন পূৰ্ব্ব সুখ শক্ৰ জ্ঞান কর, দেব দেবীর চরণে আশ্রয় লও পূজা শেষে জাহ্নবীর সলিলে ভাসিও, তাহা হইলে অন্তে অনন্ত সুখিনী হইবে ।
