পাতা:কিরণ মালা (নবীন কালী দেবী).pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ৪৬ হৃদয় গ্রন্থি ছিড়িল—আশার প্রদীপ নিবিল । পড়িয়া আছেন, দিব। রাত্র জ্ঞান নাই, কেবল চক্ষু মুদি করিয়া নিজ অদৃষ্ট রচনা ভাবিতেছেন -“ লোকে ব:ে আশাগত প্রাণ, সে কথা মিথ্যা নহে, নতুবা কেন—? এi মনে করিয়া মধুমতী অধৈৰ্য্য হইয়া পড়িলেন, নয়ন বাবিনে হৃদয় ভাসিয়া গেল, শরীর অবসন্ন, কণ্ঠ রোধ হইল। নৈরাশ যেন প্রাণে আঘাত করিতে লাগিল, মধুমতীর এত দিনের প। আশার দীপ নিৰ্ব্বাণ ! হৃদয়ে একটি গ্রন্থি ছিল, তাহা। ছিড়িল !! তাই এত খেদ, এখেদে অন্তস্থল ভেদ করিতেছে কক্ষে একটি প্রদীপ জলিতেছে, মধুমতী একদৃষ্টি দীপ প্র:ি চাহিয়া আছেন, স্থার দীপ লক্ষ করিয়া বলিতেছেন—“আচ্ছ। লোকে বলে প্রদীপ ভাল মন্দ দেখিয়া হাসে কাদে, তাই দি প্রদীপ ঐরুপ হাদিতেছে! কিন্তু बाभाद्र उ কিছু ভাল না তবে হাসিল কেন ? আমার মন্দ দেখিয়া ?”—এই বলির পাগলিনী মধুমতী অধিকতর রোদন করিতে লাগিলেন। এদিবে প্রদীপ নিৰ্ব্বানোয়ুথ,—পাগলিনী দেখিয়া হামিল – পাগল কাহাকে বলে ? যাহার চিত্তবৈকল্য জন্মিয়াছে—শোক দুঃখে মধুমতীর তাহাই ঘটিয়াছে। - -