পাতা:কিশোর (দ্বিতীয় সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি উত্তর দিবার পূর্বেই আমার বড় মেয়ে বলিল, “তা তোর যদি এত দয়াই হ’য়েছিল, তা হ’লে তাদের বাড়িতে ডেকে এনে তোর পুরাণে র্যাপারখানা দিলেই পারতিস ; নূতনখানা তুই কেন দিতে গেলি ?” অজিত বলিল, “দিদি, তখন ও কথা আমার মনেই হয়। নাই। বাড়িতে ডেকে আনলেই ঠিক হ’ত, তারা দুটাে খেতেও পেত, না দিদি !” আমি তখন অজিতকে কোলের কাছে টানিয়া লইলাম । সে সময়ে আমার মনে যে ভাবের উদয় হইয়াছিল, তাহা কথায় বলিবার শক্তি আমার হইল না। জীবনে আমি এমন সুখ। কখনও অনুভব করি নাই, এত আনন্দ আমার কখনও হয় নাই । আমার মত দরিদ্র লোকের ছেলের হৃদয় এত উচ্চ ! আমি যেন হাতে স্বৰ্গ পাইলাম ! আমি তখন কথা বলিতে পারিলাম না ; আনন্দে, সুখে আমার চক্ষু জলে ভরিয়া আসিল। আমি অজিতকে বুকের মধ্যে চাপিয়া ধরিলাম, তাহার মাথায় হাত বুলাইতে লাগিলাম। তখন ভুলিয়া গেলাম যে, আমি দরিদ্র, আমি ঋণগ্ৰস্ত ! আমি এমন ছেলের পিতা ! আমি রাজাধিরাজ অপেক্ষাও আপনাকে অধিক সৌভাগ্যবান মনে করিলাম। SOS